ঈদে বাড়িতে যেতে হবে। এজন্য ট্রেনের অগ্রিম টিকিটের জন্য কমলাপুর রেলস্টেশনে রাত জেগে অপেক্ষায় হাজারো মানুষ। সেখানে টিকিটের জন্য পুরুষদের পাশাপাশি নারীদেরও অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। কারো কারো কোলে ছোট শিশুও রয়েছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে গ্রামে ঈদ উদযাপন করতে যেতে এমন কষ্ট করছেন বলে জানান টিকিটপ্রত্যাশী এসব নারীরা। শনিবার (২ জুন) রাত সাড়ে ১১টায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে এ দৃশ্য দেখা যায়।
রেলস্টেশন ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটতে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অধিকাংশই পুরুষ। কিন্তু যাদের পুরুষ দাঁড়ানোর সুযোগ নেই সেসব পরিবারের নারীরাই টিকিট কাটতে আসেন। এছাড়া অনেক শিক্ষার্থী বাসে ভোগান্তি ও জ্যামের কারণে ট্রেনের টিকিট কাটতে আসেন কমলাপুর স্টেশনে।
টিকিটের জন্য লাইনে থাকা রুবেল বলেন, পরিবার নিয়ে গ্রামে যাবো ঈদ করতে। টিকিট কাটার জন্য ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে আমাদের। সারারাত লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে সকালে টিকিট কাটতে হবে।
ঈদ করতে পাবনা যাবেন রুবি বেগম। রাজধানীর কদমতলী থেকে দুপুরে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে আসেন তিনি। পরিবারে তিনি ছাড়া আর কেউ টিকিট কাটার মতো না থাকায় তাকেই আসতে হয়েছে।
মোছাম্মদ মুন্নি বেগম নামের এক নারী বলেন, ছেলেমেয়ে, পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঈদ করতে গ্রামে যাবো। দুপুরে আসলাম স্টেশনে। সারারাত লাইনে থেকে সকালে টিকিট কাটবো। বাসে গেলে রাস্তায় অনেক জ্যাম থাকে। অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। তাই এখন কষ্ট হলেও ট্রেনের টিকিট কাটতে আসলাম।
রাজশাহী যাওয়ার জন্য লাইনে টিকেট নিতে দাঁড়ানো রুবি বেগম নাগরিক খবরকে বলেন, বাসে ভাড়া অনেক বেশি নেয়। তাই ট্রেনেই যাওয়ার চেষ্টা করি সব সময়। ট্রেনে সবচেয়ে কষ্ট হলো টিকিট কাটা। টিকিট পেয়ে গেলে অন্তত একটু কম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
রেল মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী, ১ জুলাই থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট দেওয়া শুরু হয়েছে। সেদিন দেওয়া হয়েছে ৫ জুলাইয়ের টিকিট, ২ জুলাই দেওয়া হয় ৬ জুলাইয়ের টিকিট, ৩ জুলাই দেওয়া হবে ৭ জুলাইয়ের টিকিট, ৪ জুলাই দেওয়া হবে ৮ জুলাইয়ের টিকিট এবং ৫ জুলাই দেওয়া হবে ৯ জুলাইয়ের ট্রেনের টিকিট।
এছাড়া ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে ৭ জুলাই থেকে। ওই দিন ১১ জুলাইয়ের টিকিট বিক্রি হবে। ৮ জুলাই ১২ জুলাইয়ের টিকিট, ৯ জুলাই দেওয়া হবে ১৩ জুলাইয়ের টিকিট। ১১ জুলাই ১৪ এবং ১৫ জুলাইয়ের টিকিট বিক্রি হবে।