কক্সবাজারের উখিয়ায় এপিবিএন পুলিশ ও রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের মধ্যে ঘন্টাব্যাপী গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
উক্ত ঘটনায় এখনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার পর এ ঘটনা ঘটে। এতে একটি আমেরিকান অটোমেটিক এসল্ট রাইফেল, বিদেশি পিস্তল ও বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এতে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
গত এক সপ্তাহে গুরুতর অপরাধের ঘটনায় রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয় জনগোষ্ঠী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
গতকাল শুক্রবার সকালে উখিয়া সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে ৮ এপিবিএন এর অধিনায়ক (এসপি) এসব ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে রোহিঙ্গাদের একাধিক গ্রুপগুলোর মাঝে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অপতৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে ক্যাম্পের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা কাউকে ছাড় দিচ্ছি না।
৮-এপিবিএন এর অধিনায়ক মোঃ সিহাব কায়সার খান বলেন, উখিয়ার বালুখালী-১৮ নম্বর ক্যাম্প থেকে ১৫/১৬ জনের একদল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ক্যাম্প-২০ এর দিকে যাওয়ার গোয়েন্দা তথ্য ছিল। এমন সংবাদের ভিত্তিতে অধিনায়ক ও বালুখালী ময়নারঘোনা পুলিশ ক্যাম্প কমান্ডার অতিঃ পুলিশ সুপার খন্দকার আশফাকুজ্জামানের নেতৃত্বে একাধিক টিম রাত ৯ টার দিকে অভিযানে যান।
এপিবিএন অধিনায়ক বলেন, রাত ১০ টার পরে ক্যাম্প১৮ এর এম/১৫ এর সাব ব্লকের রাস্তার পাশে এপিবিএন এর উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি ছুড়ে। এপিবিএনও পাল্টা গুলি ও ধাওয়ার মুখে সন্ত্রাসীরা গলিপথ ক্যাম্প-২০ এর দিকে পালিয়ে যায়। এসময় ক্যাম্পের গলিপথে সন্ত্রাসীদের ফেলে যাওয়া একটি ব্যাগ তল্লাশি চালিয়ে আমেরিকান তৈরী একটি অটোমেটিক এসল্ট রাইফেল (COLT HARTFORD, USA) এবং ৪৯২ রাউন্ড তাজাগুলি উদ্ধার করা হয়।
এপিবিএন অধিনায়ক বলেন, ক্যাম্প-১৮ থেকে ধাওয়া খেয়ে কিছু সশস্ত্র রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ক্যাম্প – ১৫ এ আশ্রয় নেয়ার সংবাদ পাওয়া যায়। ক্যাম্প-১৫ জামতলী পুলিশ ক্যাম্প কমান্ডার অতিঃ পুলিশ সুপার মোঃ রবিউল ইসলাম এর নেতৃত্বে একযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
শুক্রবার রাত দেড়টায় ১৫ নং ক্যাম্পের ই/৬ ব্লক থেকে মোঃ হোসেন (৩০) ও সি/১ ব্লক থেকে জাহেদ হোসেন (৩০) কে আটক করা হয়। তারা পুলিশের ধাওয়ার মুখে ক্যাম্প১৮ থেকে পালিয়ে এসে আটক মোঃ হোসেনের ঘরে আশ্রয় নেয়। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি ও ৬৩০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করার কথা জানান এপিবিএন অধিনায়ক।
স্থানীয় পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ক্যাম্পে মাদকসহ নানা স্বার্থে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সংঘাতে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় উদ্বিগ্ন।
সহায় সম্বল ফেলে পাঁচ বছর আগে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের হাতে কীভাবে এত অস্ত্র এলো প্রশ্ন অনেকের!