সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সকল কর্মকাণ্ডে অনুপ্রেরণার উৎস। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়ন তথা বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রায় তিনিই কাণ্ডারী। তার সঠিক, যোগ্য ও সুদূরপ্রসারী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। শেখ হাসিনা বেঁচে আছেন বলেই বেঁচে আছে বাংলাদেশ। তিনি আছেন বলেই বাংলাদেশ আজ সঠিক পথে রয়েছে এবং বঙ্গবন্ধুর চেতনা ও আদর্শ বাস্তবায়িত হতে পারছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে শনিবার (২৯ আগস্ট) বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ‘আগস্ট এক অন্ধকার অধ্যায়’ শিরোনামে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বক্তৃতা অবলম্বনে গোলটেবিল আলোচনা এবং জাকির হোসেন পুলকের চিত্র প্রদর্শনীর জন্য এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘হাসুমণির পাঠশালা’ নামে একটি সংগঠন।
হাসুমণির পাঠশালার সভাপতি মারুফা আক্তার পপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অনলাইনের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের সময় দেশে না থাকায় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বেঁচে যান।
সে ঘটনাকে অলৌকিক উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ৩০ জুলাই দেশরত্ন শেখ হাসিনার জার্মানিতে বসবাসরত স্বামী বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী এম এ ওয়াজেদ মিয়ার নিকট যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই সময় তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় অসুস্থ হয়ে পড়া এবং অন্যদিকে ১৫ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর প্রধান অতিথি হিসাবে যোগদানের কথা থাকার কারণে জার্মানিতে যাওয়ায় বিষয়ে তিনি দ্বিধান্বিত ছিলেন।
তিনি বলেন, সেজন্য তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরীর দোয়া ও পরামর্শ নেয়ার জন্য তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে ১৫ আগস্টের পর জার্মানিতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। পরে বঙ্গবন্ধুর পরামর্শ চাইলে তিনি স্বামী এম এ ওয়াজেদ মিয়ার পরামর্শ মোতাবেক সিদ্ধান্ত নিতে বলেন। স্বামী ওয়াজেদ মিয়া তাকে জার্মানিতে দ্রুত চলে যাওয়ার অনুরোধ করলে তিনি সেখানে ফিরে যান। তিনি ১৯৭৫ সালের ৩০ জুলাই ছোট বোন শেখ রেহানাসহ রওয়ানা হয়ে ৩১ জুলাই জার্মানিতে পৌঁছান। মহান আল্লাহপাকের অশেষ রহমতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে যাত্রায় বেঁচে গিয়েছিলেন।
গোলটেবিল আলোচনায় আরও অংশ নেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম, গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না, বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর সভাপতি সাব্বাহ আলী খান কলিংস, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বাহাদুর বেপারী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, চিত্রশিল্পী কংকা জামিল, সূচিশিল্পী ইলোরা পারভীন প্রমুখ।শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান। আলোচনা সূত্র উপস্থাপন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম।