রাজধানীর রমনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চার কোটি ৭৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্যের জাল স্ট্যাম্প, জাল ডলার ও জাল টাকাসহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. আলফাজ উদ্দিন (৬১) ও মো. মাসুদ (৪০)।বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার ভোররাত পর্যন্ত রাজধানীর সেগুনবাগিচা ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতার আলফাজ উদ্দিন ঢাকা ট্যাক্সেস বার অ্যাসোসিয়েশনের সহকারী হিসাব রক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং মাসুদ জাল স্ট্যাম্প, জাল ডলার ও জাল টাকা তৈরির মূলহোতা।
শুক্রবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে রমনা জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি) এস. এম. শামীম বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেগুনবাগিচায় এনবিআর ভবনের নিচতলায় ট্যাক্সেস বার অ্যাসোসিয়েশনের সামনে থেকে ঢাকা ট্যাক্সেস বার অ্যাসোসিয়েশনের সহকারী হিসাব রক্ষক আলফাজ উদ্দিনকে তিন লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের জাল স্ট্যাম্পসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।’গ্রেফতার আলফাজ উদ্দিন সম্পর্কে দিয়ে তিনি বলেন, ‘অধিক মুনাফার আশায় আনোয়ার নামের এক লোকের কাছ থেকে জাল স্ট্যাম্প ক্রয় করে বিক্রি করছিলেন। করোনা শুরুর আগে আলফাজের কাছে এসে আনোয়ার জানায়, অধিক মুনাফা করতে চাইলে জাল স্ট্যাম্প বিক্রি করতে হবে। জাল স্ট্যাম্প ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আনোয়ার তার ছেলে সবুজের সঙ্গেও গ্রেফতার আলফাজ উদ্দিনের পরিচয় করিয়ে দেয়।’
আলফাজ উদ্দিনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাতভর যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে জাল স্ট্যাম্প বিক্রির হোতা মো. মাসুদকে গ্রেফতার করে করা হয়।
এ সময় তার কাছ থেকে চার কোটি ৭১ লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের জাল স্ট্যাম্প, জাল ডলার, জাল টাকা ও জাল স্ট্যাম্প বানানোর সরঞ্জাম উদ্ধার করে পুলিশ।
জানা যায়, এর আগেও জাল-জালিয়াতির অভিযোগে ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন মাসুদ। মাসুদ দীর্ঘ আট বছর এই জাল জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত এবং তিনিই এই ব্যবসার মূলহোতা।
এসি শামীম আরও বলেন, ‘জাল স্ট্যাম্প, জাল ডলার, জাল টাকা ও জাল স্ট্যাম্প তৈরির সরঞ্জামসহ গ্রেফতার দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। জাল স্ট্যাম্প বিক্রির সঙ্গে জড়িত আরও দু’জনকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।