বিয়ের পর নতুন বউকে হেলিকপ্টারে করে শ্বশুরবাড়ি থেকে নিজের বাড়ি নিয়ে যাবেন—এমন ইচ্ছা ছিল এক্সিম ব্যাংকের কর্মকর্তা বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার চৌমুহনী এলাকার যুবক রাইসুল ইসলাম। কিন্তু সেই ইচ্ছা পূরণে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস। দুই বছর পর সেই আশা পূরণ করলেন রাইসুল ইসলাম।
শুক্রবার (৬ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বগুড়ার কাহালুর উপজেলার বামুজা গ্রাম থেকে হেলিকপ্টারে করে উড়িয়ে নিয়ে আসলেন স্ত্রী রিজিয়া আক্তার স্মৃতিকে।
এক্সিম ব্যাংকের নওগাঁ শাখার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রাইসুল ইসলাম। তিনি দুপচাঁচিয়ার চৌমুহনী এলাকার ড. আব্দুল মান্নানের ছেলে। মান্নান পেশায় বামুজা সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ।
রাইসুলের স্ত্রী রিজিয়া ওই মাদরাসার উচ্চমাধ্যমিক শেষবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বামুজা দক্ষিণ পাড়ার আব্দুর রশিদের মেয়ে।
রিজিয়ার বাবাও শিক্ষক। তিনি দুপচাঁচিয়ার দাইমপুর দাখিল মাদরাসার সহকারী প্রধান শিক্ষক।
রাইসুল ইসলাম বলেন,আমার ইচ্ছা ছিল স্ত্রীকে হেলিকপ্টারে করে শ্বশুরবাড়ি থেকে নিয়ে যাবো। সেই শখ থেকেই এ আয়োজন।
এমন আয়োজনে অভিভূত তার স্ত্রী রিজিয়া আক্তার। তিনি জানান, অনেক ভালো লাগছে।
রিজিয়ার বড় ভাই রাজিব মিয়া জানান, ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে তার বোনের সঙ্গে রাইসুলের বিয়ে হয়। কিন্তু করোনার কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়ে যাওয়া হয়নি। বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার তার বোনকে নিয়ে যাওয়া হয়।
হেলিকপ্টারে স্ত্রীকে নিয়ে যাওয়ার এ দৃশ্য দেখতে গ্রামের প্রায় একশ নারী-পুরুষ মাদরাসার মাঠে ভিড় করেন। এ ঘটনায় গ্রামবাসীর মাঝেও ব্যাপক উৎসাহ দেখা যায়।
বামুজা গ্রামের বাসিন্দা ও মাদরাসার সদস্য আফজাল হোসেন বলেন, ‘এমন দৃশ্য আমাদের পল্লী অঞ্চলে আগে কেউ দেখেনি। হেলিকপ্টার কাছে থেকে দেখে খুব ভালো লেগেছে। জানি