আসন্ন কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলার ৬ নং ফতেহাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে একই পরিবারের মা, পুত্র ও ভাসুর তিনজন নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এই ইউনিয়নে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী শাহনাজ পারভিন ও বর্তমান চেয়ারম্যান এম,এ, ছালামও আওয়ামীলীগের মনোনয়ন না পেয়ে ইতিমধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ শাহনাজ পারভিনের পুত্র (সৎ) মোঃ আল- মামুন বাবু মনোনয়নপত্র (স্বতন্ত্র) দাখিল করায় একই পরিবারের তিন সদস্যের প্রার্থীতা নিয়ে এলাকায় আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠেছে।
আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী শাহনাজ পারভিন বলেন, আমি বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ দেবিদ্বার শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক এবং তৃনমুলের সাথে কাজ করার সুফল হিসাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা প্রতিক দিয়েছেন। আমার ভাসুর বর্তমান চেয়ারম্যান বিগত নির্বাচনে ওয়াদা করেছিলেন এবারে পরিবারের অন্য কাওকে দিয়ে নির্বাচন করাবেন,আর তার পরিপ্রেক্ষিতে আমি সেই থেকেই এলাকায় কাজ করে যাচ্ছি। আর আমার সৎ পুত্র এতদিন আমার সাথে কাজ করেছে এখন হঠাৎ করে কার প্ররোচনায় উদ্ভুদ্ধ হয়ে হঠাৎ প্রার্থীতা ঘোষনা করল তা এলাকাবাসী বুঝার বাকী নাই।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ৬ নং ফতেহাবদ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান এম,এ,ছালাম বলেন, ওই মহিলা (শাহনাজ পারভিন) একজন খারাপ মহিলা। সে তার সৎ পুত্রদের পিতৃ সম্পদ, জমি-জামা থেকে বঞ্চিত করেছে এবং নানা অত্যাচার করেছে তাই সে ক্ষুব্দ হয়ে নিজের প্রার্থীতা ঘোষনা করেছে। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমি শাহনাজ পারভিনকে প্রতিদ্বন্ধী হিসাবে গননা করি না এবং তাহার পুত্রের কারনে তার (শাহনাজ পারভিন) ভোট কমলেও আমার কোন ক্ষতি হবে না।
আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আল- মামুন বাবু বলেন, আমি জনগনের মনোনীত প্রার্থী এই দেহে প্রান থাকা পর্যন্ত নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকব। আপনি মায়ের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে নির্বাচনে প্রার্থীতা ঘোষনা করেছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে কিছুটা এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন,দীর্ঘদিন ধরে আমি আমার সৎ মায়ের সাথে উনার জন্য কাজ করেছি কিন্তু বিনিময়ে সামন্যতম সহযোগীতা উনার কাছ থেকে পাই নাই উল্টো আমাদের বঞ্চিত করা অর্থ দিয়ে মনোনয়ন কিনে এনে নির্বাচন করছেন।
কুমিল্লা (উঃ) জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও এই ইউনিয়নের ভোটার আবু কাউসার অনিক জানান, আমরা তৃনমুল আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীর নৌকার সাথে আছি। আর পারিবারিক বিষয়টি দুখঃজনক এবং অসুন্দর হলেও এমন পারিবারিক সমস্যা অনেক যায়গাতেই দেখা যায়,তবে এই বিষয়টির একটি সুষ্ঠ সমাধানের জন্য ইতিমধ্যে আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্য মহোদয়ের সাথে আলোচনা করেছি আশা করছি মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময় আগামী ২২ তারিখের আগেই একটি সমাধান করতে পারব।
বিষয়টি নিয়ে এলাকার হাটে-ঘাটে মাঠে ও মিনি পার্লামেন্ট চায়ের দোকানে চলছে মুখরোচক বাকযুদ্ধ। তবে ব্যাপরটিকে কেউই ভাল চোখ দেখছেন না, সাথে ব্যাক্ত করছেন মিশ্র প্রতিক্রিয়া। উল্লেখ্য, সপ্তম ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় আগামী ১২ই জানুয়ারী, মনোনয়ন বাছাই ১৫ জানুয়ারী এবং প্রত্যাহার ২২ জানুয়ারী আর ৭ই ফেব্রোয়ারী ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।আকু।