1. nagorikkhobor@gmail.com : admi2017 :
  2. shobozcomilla2011@gmail.com : Nagorik Khobor Khobor : Nagorik Khobor Khobor
রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৮:৪৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
জুলহাস কে জামায়াত নেতারা হামলা করে,আমি সিটি করপোরেশন থেকে দোকান ভাড়া নিয়েছি, আমার দোকান তারা ভাংচুর করে। বললেন মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানা। মডেল গ্রুপের ব্যবস্থাপক পরিচালক মাসুদুজ্জামান মাসুদ সহ বিএনপির তৃনমুল নেতাকর্মীরা বিস্তারিত ভিডিও তে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন শেষে কথা বলছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আড়াইহাজার উপজেলার মাটি ও মানুষের নেতা নজরুল ইসলাম আজাদ ভাই। ডা. জুবাইদা রহমানের বক্তব্য | জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন বিজ্ঞান মেলা ২০২৫ আওয়ামী লীগের দোসরা অবৈধভাবে সিদ্ধিরগঞ্জে ড্রেজারের ব্যবসা এলাকাবাসীর ক্ষোভ জনতার ক্ষোভ অবৈধ ড্রেজারে সিদ্ধিরগঞ্জে জনদুর্ভোগ সোনারগাঁওয়ে উচ্ছেদ অভিযান এত ভালোবাসা কই যাবে দুর্নীতির মামলায় সাজার বিরুদ্ধে আপিল করলেন ডা. জুবাইদা

দুবাই থে‌কে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চা‌লি‌য়ে আস‌ছে সন্ত্রাসী জিসান, গ্রেফতার ৫

নাগ‌রিক খবর ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ২৬৫ বার পঠিত

কারাগারে থাকা দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অপরাধ কর্মকাণ্ডের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে দুবাইয়ে পালিয়ে থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান। দুবাই থেকেই জিসান দেশের বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে।

সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান ও তার ভাই শামীম দুবাইয়ে পালিয়ে আছে। সেখানে বসে সে দেশে বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ড করে। এতে তাকে সহযোগিতা করে কাশিমপুর কারাগারে থাকা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুন্না এবং মামুন ওরফে ছক্কা মামুন। কারাগারে বসে এই দুজন আবার তাদের অনুসারীদের দিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি করে থাকে।

কারাগারে থাকা এই দুই সন্ত্রাসীর সঙ্গে শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের এবং দেশে থাকা সন্ত্রাসীদের যোগাযোগের প্রমাণ পেয়েছে ডিবি।

গত ১৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পূর্ববাড্ডা আলিফ নগর এলাকার জেনারেটর ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম খান টুটুলের পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা চায়। শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের নামে এই চাঁদা চাওয়া হয়। তা না হলে তার সন্তানকে খুন করার হুমকি দেয় সন্ত্রাসীরা। এই ঘটনায় বাড্ডা থানায় একটি মামলা করেন শহিদুল ইসলাম।

ডিবি এই ঘটনায় ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ উদ্ধার করে। ফুটেজ পর্যালোচনা করে গত ২১ ডিসেম্বর ওই ঘটনায় অস্ত্র ব্যবহারকারী সন্ত্রাসী মো. নাসিরকে (২১) গ্রেফতার করে পুলিশ। ২২ ডিসেম্বর সে আদালতে জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দিতে ওমর খৈয়াম নিরু, জীবন হোসেন, ফারহান মাসুদ সোহান, নাঈম, রানা ও কাওছার আহমেদ ইমনেরর নাম বলে সে।

নাসিরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ডিবির গুলশান জোনের টিম পার্বত্য বান্দরবান জেলার দুর্গম এলাকা থেকে গত ২৬ ডিসেম্বর দুপুরে কাওছার আহমেদ ইমনকে (২৪) গ্রেফতার করে। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাড্ডার বেরাইদ এলাকা থেকে একইদিন রাতে সন্ত্রাসীদের ভাড়া করা বাসা থেকে মোহাম্মদ জীবন হোসেনকে (২৫) একটি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলিসহ একটি ম্যাগজিন ও এক হাজার পিস ইয়াবা, ওমর খৈয়াম নিরুকে একটি রিভলবার, চার রাউন্ড ২২ বোরের রিভলভারের গুলিসহ একটি ম্যাগাজিন ও ৪০০ পিস ইয়াবা, ফারহান মাসুদ সোহানকে একটি বিদেশি পিস্তল, পাঁচ রাউন্ড গুলি এবং ৬০০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়।

ইমনের তথ্য অনুযায়ী তার ঘরের একটি ব্যাকপ্যাক এর ভেতর থেকে দুই হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয় এবং একই ঘরে থাকা মো. আসালামকেও দুই হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়।

হাফিজ আক্তার আরও বলেন, দুবাইয়ে অবস্থানরত জিসান ও তার ভাই শামিম এবং কাশিমপুর কারাগারে থাকা ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মামুনের ক্যাডার সোহান, ইমন, জীবন এবং নিরুর টাকার প্রয়োজন হলে তারা এলাকার বড় ভাই মো. মহিন উদ্দিন জালালের (৪৩) কাছে যায় এবং একটি কাজ অর্থাৎ টার্গেট দেওয়ার জন্য বলে। পরে মো. মহিন উদ্দিন জালাল জেনারেটর ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম টুটুলের খোঁজ দেয়। নীরু, জীবন ইমন কাজটি করার জন্য নাসিরকে ঠিক করে।

ক্যাডার জীবন হোসেন কীভাবে গুলি করতে হবে অর্থাৎ পিস্তল চালাতে হয় তা বাসের হেলপার নাসিরকে শিখিয়ে দেয়। ২০ ডিসেম্বর সকালে জীবন এবং নাঈম নাসিরকে অস্ত্র দিলেও ওইদিন নাসির গুলি করতে যেতে পারেনি। পরদিন বিকেলে নাসির তার সহযোগী রানাকে নিয়ে টুটুলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে হত্যার হুমকি দেয় এবং চাঁদা দেওয়ার কথা বলে গুলি করে চলে আসে। গুলি করার পরে নাসির অস্ত্রটি রামপুরা ব্রিজের কাছে গিয়ে জীবনের কাছে ফেরৎ দিয়ে আসে।

যে অস্ত্র ব্যবহার করে ব্যবসায়ী টুটুলের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে গুলি করা হয় সেই অস্ত্রটি আসামি জীবনের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদকালে তারা দুবাই প্রবাসী চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের ক্যাডার বলে স্বীকার করে। তথ্যপ্রযুক্তির উপাত্ত বিশ্লেষণে দুবাই প্রবাসী চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়।

রাজধানীর দক্ষিণ বাড্ডায় ২০০৬ সালের ফোর মার্ডার মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত এবং বর্তমানে কাশিমপুর কারাগারে বন্দি মামুন ওরফে ছক্কা মামুনের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের প্রমাণ পাওয়া যায়। মূলত মামুন ও ছক্কা মামুনের মাধ্যমে জিসানের সঙ্গে সন্ত্রাসী জীবনের পরিচয় হয়। দুবাইয়ে অবস্থানরত জিসান কাশিমপুর কারাগারে অবস্থানরত আসামি মামুনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে। পরবর্তীকালে জীবনের মাধ্যমে সন্ত্রাসী জিসানের সঙ্গে সোহান এবং অন্যান্যদের পরিচয় হয়। তারা হোয়াটসঅ্যাপে তাদের যোগাযোগ রক্ষা করতো।

এছাড়া অস্ত্র মামলায় কাশিমপুর কারাগারে থাকা আসামি মুন্নাও গ্রেফতারকৃত আসামিদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করতো এবং নির্দেশনা দিতো। জিসান একাধিকবার বিভিন্ন ব্যক্তির মাধ্যমে সোহানকে অস্ত্র সরবরাহ করেছে বলে স্বীকার করে। প্রথমদিকে জীবন হোসেনের মাধ্যমে জিসান সোহানের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করলেও পরে সোহানসহ অন্যদের সঙ্গে জিসান সরাসরি যোগাযোগ রক্ষা করে।

জিসান, মামুন, এবং মাহফুজ (মামুনের ভাই হত্যা মামলায় কাশিমপুর কারাগারে বন্দি) বিভিন্ন সময়ে নিরু, জীবন, সোহান, আসলামসহ অন্যদের মামলায় হাজির হওয়াসহ অন্যান্য খরচ বিকাশের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেয়। এই ক্যাডাররা বিভিন্ন সময়ে চাঁদাবাজির টাকা তুলে মামুনকে দিয়েছে বলে জানা যায়।

গ্রেফতারকৃত পিচ্চি আসলাম ওরফে ক্যাশিয়ার আসলাম এরই মধ্যে অস্ত্র মামলায় ৯ বছর কারাগারে বন্দি ছিল। গ্রেফতারকৃত অন্যদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও অন্যান্য একাধিক মামলা রয়েছে।

হাফিজ আক্তার বলেন, ব্যবসায়ী টুটুলকে যারা গুলি করেছে তারা সবাই নিম্ন আয়ের মানুষ। কিছু সন্ত্রাসী তাদের ব্যবহার করেছে।

এই সন্ত্রাসীদের চারজনের রাজনৈতিক পরিচয় রয়েছে। তিনজন বিএনপি ও একজন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলেও জানিয়েছে ডিবি।

হাফিজ আক্তার বলেন, যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে তারা রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার চেষ্টা করে। গ্রেফতার সাতজনের মধ্যে তিনজন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং একজন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

তিনি বলেন, সন্ত্রাসীরা সবসময় রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকে তাদের অপরাধ কর্মকাণ্ড চালানোর চেষ্টা করে। তবে তাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে অপরাধ কর্মকাণ্ড করে অর্থ আদায় করা।

জিসানকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।জা‌নি

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 nagorikkhobor.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com