টিকটক চক্রের প্রলোভনে পড়ে অপহৃত অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে কক্সবাজার থেকে উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এসময় অপহরণকারী চক্রের সদস্য মো. তারেককে (২০) গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব জানায়, টিকটক চক্রের সদস্যরা স্কুলপড়ুয়া উঠতি বয়সী মেয়েদের প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে বিপথে পরিচালিত করতো। এই টিকটক গ্রুপের সদস্যরা নানা অপকর্মে লিপ্ত। তারা টিকটকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেনামী পরিচয় ব্যবহার করতো। অপহৃত ছাত্রী বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার কথা বলে বের হয় এবং গ্রেফতার তারেক বিভিন্ন প্রলোভনে তাকে রূপনগর থেকে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল হয়ে লঞ্চে করে প্রথমে চাঁদপুর পরবর্তীতে লক্ষ্মীপুর ও পরে কক্সবাজারে নিয়ে যায়।
মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে র্যাব-৪ এর সহকারী পরিচালক এএসপি (মিডিয়া) মাজহারুল ইসলাম নাগরিক খবরকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ১৮ ডিসেম্বর রাজধানীর রূপনগর থানা এলাকায় বাসা থেকে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী স্কুলে যাওয়ার কথা বলে বের হয়ে আর বাসায় ফেরেনি। এ ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তার বাবা। কয়েকদিন পর তার মেয়ে বাড়িতে ফেরত না আসায় পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর বাবা র্যাব-৪ বরাবর একটি অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে র্যাবের একটি দল ঘটনার ছায়াতদন্ত শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৪ এর একটি দল অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে অপহৃতকে উদ্ধার করে। এসময় অপহরণকারী চক্রের অন্যতম হোতা তারেককে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার তারেক জানান, অপহরণকারী চক্র একটি টিকটক গ্রুপের সদস্য। দুই বছর আগে অপহৃত মেয়েটির সঙ্গে টিকটকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয়। এই গ্রুপে ৫/৬ জন সদস্য রয়েছে, যারা ঘন ঘন লাইভে এসে একে অপরের সঙ্গে মতামত ও তথ্য আদান-প্রদান করে। তারেক নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে বর্তমানে একটি দোকানে কাজ করেন।
র্যাবের এই কর্মকরা বলেন, তারা স্কুলপড়ুয়া উঠতি বয়সী মেয়েদের প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে বিপথে পরিচালিত করতো। তারা অত্যন্ত ধুরন্ধর প্রকৃতির। এই টিকটক গ্রুপের সদস্যরা নানা অপকর্মে লিপ্ত। তারা টিকটকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেনামি পরিচয় ব্যবহার করতো। অপহৃত ভুক্তভোগী বেশ কিছুদিন ধরে এই টিকটক গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত ছিল। নিখোঁজ হওয়ার দিন অপহৃত ভুক্তভোগী বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার কথা বলে বের হয় এবং গ্রেফতার তারেক বিভিন্ন প্রলোভনে তাকে রূপনগর থেকে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল হয়ে লঞ্চে করে চাঁদপুর ও পরবর্তীতে লক্ষ্মীপুর নিয়ে যায়। ভিকটিমের পরিবার তাকে খুঁজে পেতে পুলিশের শরণাপন্ন হয়েছে জানতে পেরে চক্রটি ভিকটিমকে কৌশলে লক্ষ্মীপুর থেকে কক্সবাজার হোটেলে নিয়ে রাখে। শেষে র্যাব ভিকটিমকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। জানি