বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে এবার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন ৭৯ সাঁতারু। এদের সঙ্গে অংশ নিয়েছে লারিসা রোজেন (১০) নামের চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীও।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ১১টায় টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড়া সমুদ্র সৈকত থেকে সাঁতার শুরু করেছেন তারা।
লারিসার সঙ্গে সাঁতারে অংশ নিয়েছেন তার বাবা সৈয়দ আক্তারুজ্জামান ও বড় ভাই সৈয়দ আরবিন আয়ান। দুই সন্তানের সঙ্গে অংশ নিয়ে বাংলা চ্যানেলে সাঁতারে অংশ নেন তিনি। তবে মাঝপথে তারা ব্যর্থ হলে উদ্ধারকারীরা তাদের তুলে নেন।
১৬তম বাংলা চ্যানেল সাঁতারের আয়োজন করে ষড়জ অ্যাডভেঞ্চার ও এক্সট্রিম বাংলা। প্রতিযোগিতায় একজন ফ্রান্সের নাগরিক ও এক নারী রয়েছেন। দীর্ঘ ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার সমুদ্র পাড়ি দিয়ে সেন্টমার্টিনে গেলে দ্বীপের বাসিন্দারা তাদের ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান।
আয়োজক ও দ্বীপের বাসিন্দারা জানান, ৭৯ সাঁতারু বেলা পৌনে ১১টায় সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে বাংলা চ্যানেলে সাঁতার শুরু করে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে পৌঁছান। প্রথম পৌঁছান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম রাসেল। সবচেয়ে কম সময়ে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার গৌরবও অর্জন করেন তিনি। এর আগে গত বছর সাইফুল ইসলাম রাসেল ৩ ঘণ্টা ২১ মিনিটে পাড়ি দিয়ে দ্বিতীয় হয়েছিলেন।
বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ৭৪ জন সাঁতারু দ্বীপে পৌঁছান। বাকিরাও বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে দ্বীপে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। তবে মাঝপথে ব্যর্থ হলে বেশ কয়েকজন সাঁতারুকে উদ্ধারকারীরা তুলে নেন।
১৮ বার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার রেকর্ড গড়বেন ষড়জ অ্যাডভেঞ্চারের নির্বাহী কর্মকর্তা লিপটন সরকার। তিনি সাঁতার শুরুর আগে বলেছেন, চ্যানেল সাঁতারের আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে আয়োজন করা হয়েছে। সাঁতারুরা ফ্রি হ্যান্ড সুইমিং করবেন। নিরাপত্তার জন্য প্রত্যেক সাঁতারুর সঙ্গে একটি করে উদ্ধারকারী ছিল।
লিপটন সরকার জানান, এবার সর্বোচ্চ ৭৯ জন সাঁতারু অংশ নেন। গত বছর ৪৩ জন সাঁতারু অংশ নিয়েছিল। আমরা বাংলা চ্যানেল সাঁতারকে আন্তর্জাতিক করতে পেরেছি। গতবারের চেয়ে এবার প্রায় দ্বিগুণ সাঁতারুর অংশগ্রহণ বলে দিচ্ছে বাংলাদেশে দূরপাল্লার সাঁতার জনপ্রিয় হচ্ছে।
দ্বীপে পৌঁছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সালাহ উদ্দিন বলেন, “বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে মনে হচ্ছে ‘বিশ্ব জয়’ করেছি। আমার টার্গেট ছিল যে কোনো মূল্যে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে জয়ের স্বাদ নেয়া।
প্রসঙ্গত, টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথের স্রোতধারার নাম ‘বাংলা চ্যানেল’। অ্যাডভেঞ্চার গুরুখ্যাত প্রয়াত কাজী হামিদুল হক সমুদ্র সাঁতারের উপযোগী বঙ্গোপসাগরের এ চ্যানেল আবিষ্কার করেন। ২০০৬ সালে প্রথমবার আয়োজনে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেন লিপটন সরকার, ফজলুল কবির ও সালমান সাঈদ। জানি