বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে তরুণদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেন, তরুণরাই সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার যোগ্য কারিগর।
শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে হলিক্রস কলেজ আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্পিকার এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার বলেন, ১৯৪৮ থেকে ৫২ সালে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে আন্দোলন, এরপর ৬২ সালে শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬ তে ছয় দফা, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন- এসব ধারাবাহিক আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়। এ সুদীর্ঘ যাত্রায় বঙ্গবন্ধু বারবার কারারুদ্ধ হয়েছেন। কিন্তু অন্যায়ের কাছে মাথানত করেননি তিনি। বরং সদর্পে বজ্রকন্ঠে উচ্চারণ করেছিলেন- ‘৭ কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না’। তাইতো বাঙালি পেয়েছে ভাষা, পেয়েছে মহান স্বাধীনতাসহ বিশ্বসেরা অনন্য সংবিধান।
তিনি বলেন, জাতির পিতাকে হত্যা করে জাতিকে, জাতির অস্তিত্বকে ধ্বংস করার অপপ্রচার চালিয়েছিল চিহ্নিত অপশক্তি। জাতির পিতার যোগ্য উত্তরসূরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কার্যকর হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ দৃশ্যমান। নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মিত হচ্ছে। আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু টানেল, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, মেট্রোরেলসহ বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। ২১০০ সালের ব-দ্বীপ পরিকল্পনার মাধ্যমে এদেশ জলবায়ুর বিরুপ প্রতিক্রিয়া মোকাবিলা করতে সমর্থ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
হলিক্রস কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের আর্চবিশপ বিজয় এন ডি ক্রুজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ওই কলেজের অধ্যক্ষ সিস্টার শিখা গমেজ। আরও বক্তব্য রাখেন হলিক্রস কলেজের গভর্নিং বডির প্রাক্তন সভাপতি কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’রোজারিও, আইসিডিডিআর,বি এর জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ড. ফিরদৌসী কাদরী, এরিয়া অব এশিয়ার কো-অর্ডিনেটর সিস্টার ভায়োলেট রড্রিক্স প্রমুখ।