মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুরে একটি ভবনে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে এতদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছিলেন শান্তা খানম। তবে শেষ পর্যন্ত তিনিও হার মানলেন মৃত্যুর কাছে। স্বামী ও দুই সন্তানের পর তিনিও চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এনিয়ে ওই ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু হলো।
নিহতরা হলেন কিশোরগঞ্জ পৌরসভার বয়লা খান বাড়ির বাসিন্দা আব্দুস সালাম খানের ছেলে কাওসার খান, তার ছেলে ইয়াসিন খান (৬), মেয়ে ফাতেমা নোহরা খানম (৩) ও স্ত্রী শান্তা খানম। নিহত কাওসার মুন্সিগঞ্জে আবুল খায়ের গ্রুপে ওয়েল্ডার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
কাওসারের স্বজনরা জানান, কাওসার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মুক্তারপুর এলাকায় থাকতেন। গত ২ ডিসেম্বর ভোরে ওই এলাকার শাহ সিমেন্ট রোডে জয়নাল মিয়ার চারতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে কাওসারের পরিবারের চারজনসহ পাঁচজন ঘুমন্ত অবস্থায় দগ্ধ হন। শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কাওসার খান।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় তার ছেলে ইয়াসিন খান ও মেয়ে ফাতেমা নোহরা খানম। গুরুতর দগ্ধ শান্তা খানম এতদিন একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বৃহস্পতিবার ভোরে তিনি মারা যান।
গ্রামের বাড়ি বোয়ালিয়া এলাকায় কাওসার খান ও তার দুই সন্তানকে পাশাপাশি দাফন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার শান্তা খানমের মরদেহ বাড়িতে আনা হয়। পরে স্বামী-সন্তানের পাশে তাকেও দাফন করা হয়।
বিলাপ করতে করতে কাওসারের ছোট ভাই কাইয়ুম খান বলেন, ‘এ শোক আমরা কীভাবে সইবো? পরিবারটি নিঃস্ব হয়ে গেছে। আমরা এখন কী করবো?’
একই পরিবারের সবাইকে হারিয়ে শোকে পাথর স্বজনরা। শোকের ছায়া নেমে এসেছে প্রতিবেশীদের মাঝেও। সবারই আফসোস, পরিবারটির আর কেউ অবশিষ্ট রইলো না। সুত্র:জানি