দেশে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে সরকারি সুবিধা আদায় করলেও বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুন্ন করে রাজনৈতিক আশ্রয় নেয়ার অভিযোগ উঠেছে কথিত এক মানবাধিকার কর্মীর নামে। তার নাম মোঃ এনামুল হক। পেশায় তিনি একজন আইনজীবি।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সে বাংলাদেশে আওয়ামিলীগের ত্যাগী কর্মী সেজে ঢাকা জজ কোর্টের উকিলের সনদ কাজে লাগিয়ে কোর্ট এ না গিয়েও তদবিরের জোরে এপিপি (সহকারী পাবলিক পসিকিউটর) বনে যান এবং সরকারী বেতন ভাতাও ভোগ করে আসছেন দীর্ঘ দিন যাবৎ – ছুটি বা আদালতকে না জানিয়ে ৬ মাস আমেরিকা থাকলেও ওখান থেকে ইউএস সরকার তাকে ডিপোরট করে দেশে ফেরত পাঠায় । এই প্রতারক আবার নিজেকে ভূয়া ডক্টরেট ডিগ্রী ধারী দাবী করে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতের পরিচয় দেয় যা কিনা আমেরিকাতে ধরা পরে । বিশ্বস্থ সূত্রে জানা যায়, সে বিএনপির এক শীষ সন্ত্রাসী যে ঢাকা শহরে জোট সরকারের ত্রাস ছিলো তার কর্মচারী হিসেবেও কাজ করে।
প্রতারক এনামুল হক একসেস টু হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি ভূইপোড় সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা। অসহায়, দুস্থ, নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের জন্য কাজ করার শ্লোগান নিয়ে সমাজের বিত্তবান ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এবং দেশ-বিদেশে প্রবাসী বাংলাদেশীদের থেকে অর্থ আত্নসাৎ করাই যার মূল কাজ।
সম্প্রতি আমেরিকা অবস্থান করে দেশের শীর্ষ সাজাপ্রাপ্ত আসামী, জামাত-বিএনপির নেতাদের সাথে যোগসাজস করে একটি জার্নাল প্রকাশ করেন তিনি। যার নাম ‘Voice of Vulnerability’
উক্ত জার্নালে বাংলাদেশের সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাসহ জামাত-বিএনপির ডজন খানেক পলাতক আসামীদের নিয়ে বিভিন্ন স্টোরি প্রকাশ করেন।
উক্ত জার্নালের একটি কপি প্রতিবেদকের হাতে এসে পৌঁছেছে। এতে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ব্যবস্থা ও বিচার বিভাগকে মারাতœক ভাবে ক্ষুন্ন করা হয়।
একাধিক বিশ^স্থ সূত্রে জানা যায়, কথিত এই মানবাধিকার কর্মী মোঃ এনামুল হক আমেরিকায় রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার নিমিত্তে বাংলাদেশের গণতন্ত্র-সমাজ ব্যবস্থা ও বিচার বিভাগকে কলংকিত করেছেন।
বাংলাদেশের ইমেজ ক্ষুন্ন করেছেন বিদেশের মাটিতে। যাহা রাষ্ট্রদ্রোহীতার শামিল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে- সুপ্রিম কোর্টের একজন সুনামধন্য আইনজীবি বলেন, অবিলম্ভে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলা রুজু করে তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হোক। এনামুল হক একজন ভদ্রবেশী গাদ্দার ও মুনাফেক। সে দেশে সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে বিদেশের মাটিতে কিভাবে দেশে সুনাম ক্ষুন্ন করলো? একজন আইনজীবি হয়ে সে কিভাবে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করলে এটা ভেবেই আমি লজ্জিত। তার প্রতারণার আর বহু কুটকৌশল রয়েছে। যাহা শীঘ্রই প্রকাশিত করা হবে।