গাজীপুরের মহানগরীর তারগাছ এলাকায় দাম্পত্য কলহের জেরে জুয়েনা (২১) নামে গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যা করেছে তার স্বামী। ঘটনার পর থেকে স্বামী সুজন পলাতক রয়েছে।
জুয়েনা সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার থানার সুরিগাঁও গ্রামের রাকির আলীর মেয়ে। urr গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় হেলপার পদে চাকরি করতেন।
শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) রাত ৮টায় তারগাছ মেম্বারবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, তিন বছর আগে ময়মনসিংহের বাসিন্দা সুজনের সঙ্গে বিয়ে হয় জুয়েনার। বিয়ের পর জীবিকার তাগিদে চলে আসেন গাজীপুরে। সুজন পেশায় রডমিস্ত্রি। আর রডমিস্ত্রি হওয়ায় প্রায়ই তাকে বিভিন্ন স্থানে থাকতে হতো। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ লেগেই থাকতো। সেই ক্ষোভ থেকে শুক্রবার রাতে স্ত্রী জুয়েনাকে ভাড়া বাসার ছাদে নিয়ে যান সুজন। সেখানে নিয়ে গলায় ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায় সে। তাৎক্ষণিকভাবে পরিবারের লোকজন জুয়েনাকে উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জুয়েনার বাবা রাকিব আলী বলেন, সুজন নেশাদ্রব্য সেবন করতো। আজও সে নেশাদ্রব্য সেবন করেছে। এরপর আমার মেয়েকে ছুরি দিয়ে গলাকেটে হত্যা করেছে। আমি মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা জোনের সহকারী কমিশনার আহসান হক জাগো নিউজকে জানান, পারিবারিক কলহের জেরে বাড়ির ছাদে নিয়ে স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা করেছে স্বামী। ঘটনার পর থেকে স্বামী সুজন পলাতক রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সুজনকে আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।