কুমিল্লা মহানগরীর ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল হত্যাকান্ড নিয়ে ছবি ও ভিডিও ধারন করে স্থানীয় পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে বাংলার আলোড়নের ফটো সাংবাদিক সহিদুল ইসলাম সাকিবকে হত্যার হুমকি দিয়েছে অজ্ঞাতনামা মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা।
এ বিষয়ে সাংবাদিক সহিদুল ইসলাম সাকিব জানান, ২২ নভেম্বর সোমবার দিবাগত রাতে আমি কাউন্সিলর সোহেল ভাইয়ের মৃত্যুর সংবাদ সংগ্রহ করে সুজানগর থেকে আসার সময় দুইটি মোটরসাইকেল সুজানগর জলিল ও জয়নাল মিয়ার বাড়ির সামনে থেকে আমাকে অনুসরন করতে করতে রাজগঞ্জ পর্যন্ত এসেছে। তারা মোটরসাইকেলে কালো পোশাকে মাথায় হেলমেট পড়ে থাকায় তাদেরকে চিনতে পারি নাই। শিল্পী জসিম আমার সাথে থাকার কারনে হয়তো আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। শিল্পী জসিম তাদের পদচারনা বুঝতে পেরে জনসমাগম এলাকায় আমাকে নিয়ে আসে।
সাকিব আরও জানায়, সন্ত্রাসীরা রাত ২ টার সময় আমার বাসার নিচে ঘুরাঘুরি করতে থাকে, পরে আমি ৯৯৯ এ কল দিলে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বাড়ির সামনে আসেন।
এছাড়া র ্যাব-১১ সিপিসি ২ কে জানানোর সাথে সাথে তারাও এসে সন্ত্রাসীদের দাওয়া দিয়েছে এবং সারা রাত একটি টিম বাসার সামনে অবস্থান করে।
সাকিব জানায়, সন্ত্রাসীরা যাওয়ার সময় গালমন্দ করে আরও বলেছে- তুই সাংবাদিক সাকিব্বা কাউন্সিলরের মারা যাওয়ার খবর মিডিয়ায় দিছস, তোরেও নিউজ কইরা দেমু।
এ বিষয়ে সাকিব আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বলেন, আমি তো নিউজ করতে গিয়েছি কারো পক্ষে বা বিপক্ষে তো যাইনি, তাহলে কেন আমার উপর হামলা হবে, আমি মারা গেলে কার কি যায় আসে। আমার সন্তান এতিম হবে। বাবা ছাড়া রাস্তায় রাস্তায় ঘুরাঘুরি করে হয় তো বড় হবে, সেদিন কি তার বাবার বিচারের জন্য দাবি জানাবে না। তাহলে কেন এতো বিবাদ বিচ্ছেদ হচ্ছে, আমি তো কারো ক্ষতি করিনি, আমি তো সকল সাংবাদিকদের মত তথ্য নিয়ে গণমাধ্যম কে সহযোগিতা করেছি। আমায় মেরে ফেললে হয়তো কারো কিছু হবে না কিন্তু আমার ছেলেটা এতিম হবে। এতিমের কষ্টটা আমি বুঝি।
র্যাব ১১ এর কোম্পানি কমান্ডার তালুকদার নাজমুছ সাকিব, কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল আজিম, জেলা গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি ইন্সপেক্টর রাজেশ, এসআই মফিজুল ইসলাম, এএসআই মাসুদ, ডিএসবিসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছেন।