দেশের অভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলা ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা আরও দ্রততম সময়ে নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ পুলিশে চালু হচ্ছে এভিয়েশন উইং। এ উইংয়ে যুক্ত হবে দুটি এমআই-১৭১এ২ হেলিকপ্টার। হেলিকপ্টারগুলো চালাতে এরইমধ্যে একক উড্ডয়ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মুশফিকুল হক চন্দন ও সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) শরীফ সারোয়ার হোসেন।
গত ১৯ নভেম্বর জেএসসি রাশিয়ান হেলিকপ্টার্সের সঙ্গে বাংলাদেশ পুলিশের এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
সোমবার (২৩ নভেম্বর) রাতে পুলিশের জনসংযোগ কর্মকর্তা এ কে এইচ এম কামরুল আহসান এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, জননিরাপত্তা ও দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশের সক্ষমতা ও দক্ষতা আরও বাড়াতে দুটি এমআই-১৭১এ২ হেলিকপ্টার কিনতে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি হয়। পুলিশের কর্মকর্তারা পরিচালনা করবেন এভিয়েশন উইং। পুলিশ কর্মকর্তারাই পাইলট হিসেবে চালাবেন হেলিকপ্টার। এরইমধ্যে তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মুশফিকুল হক চন্দন ও সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) শরীফ সারোয়ার হোসেন আজ মঙ্গলবার সৈয়দপুর বিমানবন্দরে তাদের প্রথম একক উড্ডয়নে প্রশিক্ষক ছাড়াই উড্ডয়ন ও অবতরণ করে পাইলট হওয়ার বাধ্যতামূলক পরীক্ষায় সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
এর আগে, গত ১৯ নভেম্বর বাংলাদেশ পুলিশের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. কামরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, হেলিকপ্টার দুটি কেনা হবে জেএসএস রাশিয়ান হেলিকপ্টার্স থেকে। বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব প্রাইডে ১৯ নভেম্বর চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ ও জেএসসি রাশিয়ান হেলিকপ্টার্সের মহাপরিচালক আন্দ্রে বগিনস্কি ভার্চ্যুয়ালি নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দিন, বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মন্টিটস্কি, বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজি ও ঢাকায় পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন।সুত্র:জানি