বেসরকারি ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক মো. রিশাদ হুদার ওপর ধানমন্ডি থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাজিম আহম্মেদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর নাজিমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সাংবাদিক রিশাদ হুদা বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার ছেলে।
হামলার ঘটনায় শনিবার (২০ নভেম্বর) দিনগত রাতে ডিএমপির শাহবাগ থানায় রিশাদ হুদা বাদী হয়ে নাজিম আহম্মেদকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন। মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- তানভীর, ইউসুফ, ইকবাল ও আরও ১০-১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
শনিবার দিনগত রাতে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুদ হাওলাদার।
তিনি নাগরিক খবরকে বলেন, ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সিনিয়র সাংবাদিক রিশাদ হুদাকে মারধরের অভিযোগে ১৪৩/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৪২৭/৫০৬ ধারায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রধান আসামি নাজিম আহম্মেদকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আহত সাংবাদিক রিশাদ হুদা বলেন, শনিবার বিকেল ৪টার দিকে শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটের পেছনের গলি দিয়ে যাওয়ার পথে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নাজিম আহম্মেদ তার প্রাডো-১২ গাড়ি আমার মোটরসাইকেলের বামে এসে চাপ দেয়। এসময় আমি হর্ন দিলে তিনি ক্ষিপ্ত হন এবং গাড়ি থেকে নাজিম উদ্দিনসহ তার দুজন সহযোগী নেমে এসে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এরপর তারা আমার হেলমেট খুলে নিয়ে মাথা, বুক ও পিঠে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। পরে সাধারণ মানুষের তোপের মুখে সেখান থেকে আমার মোটরসাইকেলের চাবি নিয়ে আমাকে আজিজ মার্কেটের সামনে যেতে বলে।
তিনি আরও বলেন, আজিজ মার্কেটের সামনে গেলে তারা আমাকে মার্কেটের মালিক সমিতির সভাপতির কাছ থেকে চাবি আনতে বলে। এরপর চাবি নেওয়ার জন্য মার্কেটের চতুর্থ তলায় গেলে সেখানে কলাবাগান থেকে আসা আরও ১০-১৫ জন আমাকে মারপিট করে মোবাইল কেড়ে নেয়। এসময় ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে নাজিম আহম্মেদকে থানায় নিয়ে যায়। হামলার পর আহত অবস্থায় আমাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
সাংবাদিক রিশাদ হুদা বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সদস্য ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) স্থায়ী সদস্য।সুত্র:জানি