1. nagorikkhobor@gmail.com : admi2017 :
  2. shobozcomilla2011@gmail.com : Nagorik Khobor Khobor : Nagorik Khobor Khobor
রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
জুলহাস কে জামায়াত নেতারা হামলা করে,আমি সিটি করপোরেশন থেকে দোকান ভাড়া নিয়েছি, আমার দোকান তারা ভাংচুর করে। বললেন মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানা। মডেল গ্রুপের ব্যবস্থাপক পরিচালক মাসুদুজ্জামান মাসুদ সহ বিএনপির তৃনমুল নেতাকর্মীরা বিস্তারিত ভিডিও তে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন শেষে কথা বলছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আড়াইহাজার উপজেলার মাটি ও মানুষের নেতা নজরুল ইসলাম আজাদ ভাই। ডা. জুবাইদা রহমানের বক্তব্য | জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন বিজ্ঞান মেলা ২০২৫ আওয়ামী লীগের দোসরা অবৈধভাবে সিদ্ধিরগঞ্জে ড্রেজারের ব্যবসা এলাকাবাসীর ক্ষোভ জনতার ক্ষোভ অবৈধ ড্রেজারে সিদ্ধিরগঞ্জে জনদুর্ভোগ সোনারগাঁওয়ে উচ্ছেদ অভিযান এত ভালোবাসা কই যাবে দুর্নীতির মামলায় সাজার বিরুদ্ধে আপিল করলেন ডা. জুবাইদা

প্রেমিকা‌কে হত্যা ক‌রে নদী‌তে ভা‌সি‌য়ে দেয় প্রেমিক- রহস্য উৎঘাটন করল পি‌বিআই

নাগ‌রিক খবর অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২১
  • ৩৯৫ বার পঠিত

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্তে দীর্ঘ প্রায় দেড় বছরের বেশি সময় পর বেরিয়ে এসেছে লিপা আক্তার নিপার হত্যাকাণ্ডের রহস্য। অন্তঃসত্ত্বা নিপাকে হত্যার পর নদীতে ফেলে দি‌য়ে‌ছিল প্রেমিক আমিনুল।

নিপার অন্যত্র বিয়ের পরে পুরানো প্রেমিক আমিনুল ইসলাম ওরফে আমিরুলের সঙ্গে আবারো যোগাযোগ হয় নিপার। তাদের সম্পর্কের একপর্যায়ে নিপা গর্ভবতী হয়ে পড়লে আমিরুলকে বিয়ের জন্য চাপ দেন নিপা।

একদিন রাতে বিয়ের কথা বলে নিপাকে ঘর থেকে নিয়ে যায় আমিরুল। মেঘনা নদীর মাঝে নৌকায় নিপাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ভাসিয়ে দেওয়া হয় নদীতে। আমিরুলসহ এই কিলিং মিশনে অংশ নেন মোট সাতজন।

গত বছরের ২৬ এপ্রিল মেঘনা নদী থেকে অজ্ঞাত অবস্থায় এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি দেখে পুলিশের সহায়তায় পরিবার নিশ্চিত হয় মরদেহটি লিপা আক্তার নিপার। অজ্ঞাত হিসেবে লাশ দাফন করা নিপার মৃত্যুর ঘটনায় নরসিংদী সদর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলাও দায়ের করা হয়।

পরবর্তীতে নিহত নিপার মা কোহিনুর বেগমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে নরসিংদী সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি প্রথমে নৌ-পুলিশ তদন্ত করলেও কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাছে হস্তান্ত করা হয়।

এরমধ্যে আমিরুলের বন্ধু সুজন মিয়া ও চাচাতো ভাই জহিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পিবিআই। প্রধান আসামি আমিরুল পলাতক রয়েছেন আর বাকি চারজন বর্তমানে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে পিবিআই প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান পিবিআই নরসিংদী জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. এনায়েত হোসেন মান্নান।

গ্রেফতার দুইজনের আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তির প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, আমিরুলের সঙ্গে নিপার দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু আমিরুলের বাবা তাদের সম্পর্ক মেনে নেননি, বরং নিপার বাবাকে দিয়ে অন্যত্র বিয়ে দিতে সহায়তা করেন। সেখানে নিপা এক বছর সংসার করার পর সেখানে তার একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়।

একপর্যায়ে আমিনুল নিপার স্বামীকে তাদের অতীতের প্রেমের কাহিনী বলেন। এতে নিপার স্বামী ক্ষিপ্ত হয়ে নিপাকে সন্তানসহ বাবার বাড়িতে রেখে আসেন। এরমধ্যে নিপার স্বামী অন্যত্র বিয়ে করে ফেলেন এবং নিপার সঙ্গে আমিরুলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের এক পর্যায়ে নিপা গর্ভবতী হয়ে পড়েন। আমিনুল নিপার বাচ্চাটি নষ্ট করার জন্য ডাক্তারের কাছে গেলে, এটি সম্ভব হবে না বলে জানায় চিকিৎসক। সে সময় নিপা চার থেকে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।

পরে আমিরুলকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন নিপা। এরমধ্যে আমিরুল অন্য সহযোগীদের নিয়ে নিপাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। সে অনুযায়ী গত বছরের ২৪ এপ্রিল সন্ধ্যার পর নিপাকে বিয়ের কথা বলে নৌকাযোগে মেঘনা নদীতে নিয়ে যায়। মাঝ নদীতে নিয়ে গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে এবং কাঠ দিয়ে এলোপাথারি পিটিয়ে নিপার মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা।

পিবিআই’র এই কর্মকর্তা বলেন, নিপাকে হত্যার পর চরের কোথাও লাশটি চাপা দেওয়ার পরিরিকল্পনা ছিলো তাদের। কিন্তু নদীর সবদিকে জেলেদের উপস্থিতি থাকায় উপায় না দেখে নিপার মরদেহ লাশটি নদীতে ভাসিয়ে দেয় তারা। এবং হত্যায় ব্যবহৃত গামছা ও তাদের সঙ্গে থাকা কোদাল নদীতে ফেলে দেয়। এমনকিট নৌকাটিও অন্যত্র বিক্রি করে দেয় জড়িতরা। পরে নৌকাটিকে আলামত হিসেবে সংগ্রহ করতে পেরেছে পিবিআই

ভাসমান মরদেহটি ৪০ কিলোমিটার দূর থেকে অজ্ঞাত হিসেবে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে আঞ্জুমান মফিদুলের সহায়তায় মরদেহটি দাফন করা হয়। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখে পরিবার গিয়ে নিপাকে শনাক্ত করা হয়। এ ঘটনায় হত্যা মামলা করতে গিয়ে পরিবার নানা ধরনের ভয়ভীতির সম্মুখীন হয়। পরে আদালতে নিপার মা কোহিনুর বেগমের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী নরসিংদী সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে পিবিআই’র এসপি এনায়েত হোসেন মান্নান বলেন, প্রধান অভিযুক্ত আমিরুল বিদেশে পলাতক বলে শোনা যাচ্ছে, কিন্তু বিষয়টি আমরা এখনো নিশ্চিত নই, আমরা তাকে খুঁজছি। এছাড়া, কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বাকি চারজন উচ্চ আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 nagorikkhobor.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com