নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের এক স্কুলছাত্রী (১৫) থানায় এসে দলবেঁধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন। সোমবার (১৫ নভেম্বর) চার জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা রুজুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি।
তিনি বলেন, বাদীকে আড়াইমাস পূর্বে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করা হয়েছিল বলে এজাহারে উল্লেখ করেছেন। তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন ও আসামিদের গ্রেফতারে যথাযথ ব্যবস্থা করা হবে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মিরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের মীর কাশেম উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী গত ২৬ আগস্ট সকাল ১০টায় স্কুলে যাওয়ার পথে মজুমদার হাটের উত্তর পাশে পৌঁছালে আবু নাছেরের বাড়ির সামনে থেকে নরোত্তমপুর গ্রামের আবদুল্লাহ আল মামুন (২৮), একই গ্রামের কামাল (৪৬), নাছের (২৫) ও হাজীপুর পাঁচ বাড়ির ফরহাদ (২৭) তাকে অপহরণ করে সিএনজিযোগে সেনবাগ থানার ছাতারপাইয়ার এক ব্যক্তির বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে।
সেখানে আবদুল্লাহ আল মামুন ও কামাল তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। দুইদিন পর ২৮ আগস্ট দুপুর ১২টায় সেখান থেকে তাকে সোনাইমুড়ি হয়ে টাঙ্গাইল শহিদপুর গ্রামের এক বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে। ওই বাড়িতে কামাল, নাছের ও ফরহাদ আবারও তাকে গণধর্ষণ করে। স্থানীয় অজ্ঞাত যুবকদের এনেও তাকে ধর্ষণ করানো হয়। এতে কিশোরী অজ্ঞান হয়ে পড়লে ওষুধ খাইয়ে একটু সুস্থ করে পুনরায় পালাক্রমে ধর্ষণ করা হতো।
ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে তা ভাইরাল করার হুমকিতে বেশ কয়েকবার ফিরে এসেও তিনি ধর্ষকদের কাছে আবারো ফিরে গেছেন বলে জানিয়েছেন। পরে রোববার রাতে থানায় ধর্ষণ মামলার এজাহার দায়ের করেন।
তবে স্থানীয় একাধিক সূত্র দাবি করেছে, ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে নরোত্তমপুর গ্রামের কামাল হোসেনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের সূত্রে কামালের সঙ্গে স্বেচ্ছায় পাড়ি জমিয়ে ওই প্রতারক চক্রের জালে আটকা পড়েন। বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে বলে জানান ওসি।সুত্র:জানি