কিশোরগঞ্জের ভৈরবে চায়ের দোকানদার স্বপন হত্যা মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আসামি বুলবুল। রোববার (১৪ নভেম্বর) কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহীদুল ইসলাম চৌধুরীর আদলতে দেওয়া জবানবন্দিতে খুনের কথা স্বীকার করে বুলবুল।
বুলবুল ভৈরবের জগমোহনপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। তিনি কিশোরগঞ্জে চুরি, ডাকাতি ও টাকার বিনিময়ে খুন করে থাকেন। বুলবুলের বিরুদ্ধে একাধিক চুরি ও ডাকাতি মামলা রয়েছে।
স্বপন হত্যার ঘটনায় গত মাসে নিহতের ভাই ও মামলার বাদী রিপন মিয়াকে পিবিআই পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এ ছাড়া ভৈরব উপজেলার চানপুর গ্রামের আবদুল আজিজের পুত্র রৌফ মিয়া (৩৫), একই গ্রামের মৃত আবদুল হামিদের পুত্র ইমান হোসেন (২৮) ও মৃত নান্নু মিয়ার ছেলে মো. সবুজকে (৩৩) গ্রেপ্তার করে পিবিআই। আর বুলবুল এত দিন পলাতক ছিলেন।
রিপন মিয়াকে গ্রেপ্তারের পর কিশোরগঞ্জ আদালতে জবানবন্দিতে এই চারজনের নাম বলেন। জবানবন্দিতে তিনি বলেন, তারা পাঁচজন মিলে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে মুখে অ্যাসিড ঢেলে খালের পানিতে চুবিয়ে স্বপনকে হত্যা করেন।
ভৈরবে গত আড়াই মাস আগে স্বপন (৩৭) নামের এক চায়ের দোকানদারের লাশ খাল থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন এই ঘটনায় তার ছোটভাই রিপন মিয়া বাদী হয়ে ভৈরব থানায় তিনজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি পরে তদন্ত দেওয়া হয় কিশোরগঞ্জের পিবিআইকে।
দেড় মাস তদন্ত শেষে পিবিআইয়ের তদন্তে বেরিয়ে আসে আসল রহস্য। জানা যায়, স্বপনকে হত্যা করেছে তার ছোটভাই এবং মামলার বাদী রিপন মিয়াসহ পাঁচ জন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক মো. সাকুরুল হক খান জানান, মামলার বাদী রিপন সম্পত্তির লোভে তাকে বন্ধুদের নিয়ে হত্যা করে। ঘটনার তদন্তে বেরিয়ে এসেছে লোমহর্ষক কাহিনী। বুলবুল এতদিন পলাতক ছিল। তিনি ডাকাতি মামলায় ভৈরব পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলে আমি তাকে শ্যোন এরেস্ট দেখাই আদালতে। পরে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে সে।