স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাহাত্তরের সংবিধান দীর্ঘ ২৪ বছর আন্দোলন-সংগ্রামের প্রতিফলন। শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত সমাজ বিনির্মাণই বাহাত্তরের সংবিধানের মূল লক্ষ্য।
বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত ৫০তম সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এসময়, অনুষ্ঠানের আলোচ্য বিষয় ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির রক্ষাকবচ বাহাত্তরের সংবিধান’ সময়োপযোগী বলে উল্লেখ করেন তিনি।
স্পিকার বলেন, গণপরিষদের ভাষণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন- ‘অLknpjনেক রক্তের বিনিময়ে আমাদের এই সংবিধান। শাসনতন্ত্র ব্যতীত কোনো দেশ- পাল ও মাঝিবিহীন নৌকার সমান’ বলে তিনি উল্লেখ করেছিলেন। শাসনতন্ত্রে মানুষের অধিকার ও কর্তব্য সংবলিত থাকবে, যার প্রতিফলন আমরা ৪ নভেম্বর গণপরিষদে বঙ্গবন্ধুর প্রদত্ত ভাষণে দেখতে পাই। বাহাত্তরের সংবিধানকে বঙ্গবন্ধু ‘জনগণের শাসনতন্ত্র’ বলে অভিহিত করেছেন। ৪৮-৪৯ থেকে শুরু করে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে রচিত হয়েছে বাহাত্তরের সংবিধানের ভীত ও চারটি মৌলিক স্তম্ভ- জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যার পর সমগ্র প্রেক্ষাপটকে পাল্টে দেওয়া হয়। একাত্তরের পরাজিত শক্তি তাদের নীলনকশা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করে এবং সংবিধানকে নানাভাবে ক্ষতবিক্ষত করা হয়। ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত দেশ ও মানুষের আর্থসামাজিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু যে সংগ্রাম করেছেন, তার ভিত্তিতে রচিত বাহাত্তরের সংবিধানের লক্ষ্য অর্জনে সকলের অব্যাহত প্রচেষ্টা জরুরি।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- রাশেদ খান মেনন এমপি, হাসানুল হক ইনু এমপি ও আরমা দত্ত এমপি। এছাড়া, অনুষ্ঠানে ব্যরিস্টার আমিরুল ইসলাম, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ব্যরিস্টার তুরিন আফরোজ, রামেন্দু মজুমদার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন