রামপুরায় পুলিশের সোর্স হত্যা মামলার মূল আসামী ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগের একটি টিম। গ্রেফতারকৃতরা হলো- মোঃ রিমন ওরফে লিমন ও মহিউদ্দিন শিবলু।
আজ ১ নভেম্বর, ২০২১ সোমবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানান ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (এ্যাডমিন এন্ড ডিবি-দক্ষিণ) মোঃ মাহবুব আলম, বিপিএম, পিপিএম(বার)।
ডিবির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বলেন, ২৯ অক্টোবর, ২০২১ রামপুরা থানার বৌ-বাজার আদর্শ গলি সংলগ্ন বরফ গলিতে ভিকটিম আলমগীরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে দুর্বৃত্তরা। আহত ভিকটিমকে তার বন্ধুরা চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নিয়ে যায়। ভিকটিমের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল থেকে ভিকটিমকে জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট শেরে বাংলা নগর হাসাপাতালে হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তীতে ভিকটিম ৩০ অক্টোবর, ২০২১ চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে মৃত্যুবরণ করেন। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে রামপুরা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি থানা পুলিশের পাশাপাশি ছায়া তদন্ত করে গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগ।
তিনি বলেন, মামলাটি তদন্তকালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গ্রেফতারকৃতদের অবস্থান সনাক্ত করে ৩১ অক্টোবর, ২০২১ রবিবার সকাল ১০:৩০টায় রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানা এলাকা হতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে তার দেয়া তথ্য মতে হত্যায় ব্যবহৃত একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতরা পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। ইতোপূর্বে ভিকটিম আলমগীরের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছিলো। যার প্রেক্ষিতে ভিকটিম আলমগীরের উপর তাদের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। উক্ত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তারা ভিকটিমকে হত্যা করে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলার তথ্য পাওয়া যায়। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে পুলিশ তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে মর্মে গোয়েন্দা এ কর্মকর্তা জানান।
গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার রিফাত রহমান শামীম, পিপিএম এর সার্বিক নির্দেশনায় এবং অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ রফিকুল ইসলাম এর তত্ত্বাবধানে খিলগাঁও জোনাল টিমের টিম লিডারের নেতৃত্বে এই অভিযানটি পরিচালিত হয়।