টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে স্কুলছাত্রী সুমাইয়া আক্তারকে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১২)। আরেক ছেলের সঙ্গে প্রেমে জড়ানোর কারণে তাকে গলা কেটে হত্যা করে সাবেক প্রেমিক মনির হোসেন (১৭)। এ সময় সে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) র্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, নিহত সুমাইয়া আক্তারের পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, প্রতিবেশী ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং বিভিন্ন লোকজনের সঙ্গে প্রকাশ্য ও গোপনে কথা বলে র্যাবের টিম। তারা জানতে পারে সুমাইয়ার সঙ্গে ট্রাকচালকের সহকারী ওই মনিরের দীর্ঘ দুই বছর যাবত প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি সে তার প্রেমিকা সুমাইয়ার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের জন্য একাধিকবার প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় সে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। মাদকাসক্ত অবস্থায় এর আগে কয়েক দফায় সুমাইয়ার ওপর শারীরিক নির্যাতনও করে ওই মনির।
আব্দুল্লাহ আল মামুন আরও বলেন, প্রায় দুমাস আগে সুমাইয়া তার সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করে অন্য একটি ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এতে ওই মনির ক্ষুব্ধ হয়। ৫-৭ দিন আগেও সুমাইয়াকে সে রাস্তায় একা পেয়ে মারধর করে। মারধরের দৃশ্য ভিডিও করে তার বন্ধুদের দেখায়। ২৬ অক্টোবর রাতে মনির তার কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে এলেঙ্গা সামসুল হক কলেজের মাঠে বসে মিটিং করে এবং সুমাইয়া ও তার নতুন প্রেমিকের ওপর প্রচণ্ড ক্ষোভ প্রকাশ করে। এ সময় বন্ধুরা তাকে সুমাইয়ার পথ থেকে সরে যেতে পরামর্শ দেয়। এরপর থেকে ওই মনির পাগলের মতো আচরণ করতে থাকে।
আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সংশ্লিষ্ট বিবেচনায় ও একটি ভিডিও বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে অভিযুক্ত মনির একটি সুইচ গিয়ার ছুরি সংগ্রহ করে এবং লাইকির জন্য ভিডিও তৈরি করে। ওই সুইচ গিয়ার ছুরিটি ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ জব্দ করে। প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হয়ে র্যাবের তদন্ত টিম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুরুতর আহত মনিরকে বুধবার রাতে গ্রেফতার দেখায়।