শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিতলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ২, ৫ ও ৮ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য এবং ৭, ৮, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য পদের কয়েকজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারে স্বাক্ষর দেননি। তবুও জাল স্বাক্ষরে তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
২ নম্বর ওয়ার্ডে খোকন ফরাজি, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আনিছউদ্দিন মোল্লা, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য শফিকুল ইসলাম এবং ৭, ৮, ৯ সংরক্ষিত নারী সদস্য ফুল মালা বেগম, ফাতেমা আক্তার, নিলুফা ইয়াসমিনের জাল স্বাক্ষরে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ঘটনা ঘটেছে। তারা নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) ফুল মালা বেগম, ফাতেমা আক্তার, নিলুফা ইয়াসমিন দাবি করেন, ২৬ অক্টোবর ছিল মনোয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। কিন্ত সন্ধ্যায় দেখি আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী রুমা আক্তার বিজয় মিছিল করছেন। আজ প্রতীক আনতে গিয়ে দেখি আমাদের স্বাক্ষর জাল করে আমাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা হয়েছে। আমরা অভিযোগ করবো। আমরা নির্বাচন করতে চাই।
খোকন ফরাজি, আনিছ উদ্দিন মোল্লা ও শফিকুল ইসলাম দাবি করেন, আমরা মনোয়নপত্র প্রত্যাহার করিনি। কিন্তু আজ প্রতীক আনতে গিয়ে দেখি, আমাদের স্বাক্ষর জাল করে কারা যেন আমাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করিয়েছে।
শরীয়তপুর সদর উপজেলা কৃষি অফিসার ও চিতলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সাধারণ নির্বাচনে রির্টানিং কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন এ বিষয়ে বলেন, চিতলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সাধারণ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুজন, সাধারণ সদস্য ৪৮, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১২ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন ৩৯ জন সাধারণ সদস্য, ৯ জন সংরক্ষিত নারী সদস্য। যারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন, তাদের স্বাক্ষর সম্বলিত আবেদন আমাদের কাছে আছে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন বলেন, দ্বিতীয় ধাপে ১১ নভেম্বর শরীয়তপুরের চিতলিয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে হারুন-অর-রশিদকে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছেন রির্টানিং কর্মকর্তারা। এছাড়া সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত আসনের সদস্যসহ কয়েকজনকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে মেম্বার ঘোষণা করেছেন রির্টানিং কর্মকর্তা।সুত্র:জানি