মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, স্বাধীনতা বিরোধী উগ্র গোষ্ঠীরাই ধর্মীয় উত্তেজনা সৃষ্টি করছে। এই গোষ্ঠীই ভাস্কর্ষ ভাঙ্গার পর এবার কুমিল্লায় দুর্গাপুজা মন্ডবে পবিত্র কোরআন শরীফ রেখে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার অপচেষ্টা করছে। বাপ দাদার আমল থেকে এবং হাজার বছর ধরে হিন্দু মুসলমান আমরা একত্রে বসবাস করছি। কোনদিন হিন্দু ধর্মালম্বিরা কুরআন অবমাননা করেনি।
এগুলো ইচ্ছা করেই করা হচ্ছে । ধর্মীয় উত্তেজনা সৃষ্টি জন্যই। এই ডিজিটাল যুগে মিথ্যাচার করে সারাক্ষন অপপ্রচার করছে বিএনপি । মন্ত্রী বলেন, চোরের মার বড় গলা। তারা এতিমের টাকা চুরি করেছে। এটি আমার কথা নয় আদালতের কথা। খালেদা জিয়া এবং তার ছেলে তারেক জিয়া বিদেশ থেকে নিয়ে আসা এতিমের টাকা মেরে দিয়েছে।
তারা জানে সামনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যেতে পারবেনা। শেখ হাসিনাকে আর পরাজিত করা যাবেনা । তাই তারা ধর্মীয় উম্মাদনা সৃষ্টি করে দেশকে ব্যার্থ রাস্ট্রে পরিনত করতে চায়।
তারা জানেনা তাদের সাধের পাকিস্তান ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে পরিনত হয়েছে । আর বাংলাদেশ সারা পৃথিবীতে উন্নয়নের রোল মোডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। তিনি বলেন, হিন্দুরা কেন আমাদের পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআন পুজোমন্ডবে রেখে পুজো করবে। এটি যে একটি পরিকল্পিত ঘটনা তা পরিস্কার বোঝাই যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকালে পঞ্চগড় উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা প্রশাসন আয়োজিত পঞ্চগড় সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রী আরও বলেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত আমাদের এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে, প্রশিক্ষণ দিয়েছে, অস্ত্র দিয়েছে।
আমরা সেই অস্ত্র নিয়ে পাক হানাদার বাহিনীকে নাস্তানাবুদ করেছি। ১৬ ডিসেম্বর পাকহানাদার বাহিনী আত্মসর্মপন করতে বাধ্য হয়েছে। দেশ স্বাধীন হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পঞ্চগড়-১ আসনের সাংসদ মজাহারুল হক প্রধান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, পঞ্চগড় পৌরসভার মেয়র জাকিয়া খাতুন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ প্রধান, মো. সায়খুল ইসলাম, এটিএম সারোয়ার হোসেন বক্তব্য রাখেন।
এর আগে মন্ত্রী পঞ্চগড় সদর উপজেলা মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্স ভবনে পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে নবনির্মিত সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের শুভ উদ্বোধন করেন।
২ কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৫৪০ টাকা ব্যায়ে কমপ্লেক্স ভবনটি নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।