কুমিল্লা র্যাব ১১ সিপিসি ২ এর পৃথক দুটি অভিযানে সদর চান্দপুর থেকে বিদেশী পিস্তল,দেশীয় অস্ত্র,বিভিন্ন মাদকদ্রব্য ও বাখরাবাদ এলাকা থেকে ফেনসিডিলসহ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব সুত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল সোমবার ২৭ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে কুমিল্লা কোতয়ালি থানাধীন চাঁনপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ১টি বিদেশী পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিন ,২ রাউন্ড গুলি, বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র, ৩৩ বোতল বিয়ার, ৪৬ বোতল বিদেশী মদ, ৮৭ বোতল স্কার্ফ সিরাপ ও ৩০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। এ সময় অস্ত্রধারী মাদক ব্যবসায়ী ব্যবসায়ী ডুমুরিয়া চান্দপুর গ্রামের মোঃ হাসান আলীর ছেলে মোঃ খোরশেদ আলম সুমন (৩৯) কে গ্রেফতার করা হয়।
আসামির স্বীকারক্তিতে র্যাব ১১ সিপিসি ২ এর অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন নাগরিক খবরকে জানান বিগত দুই-তিন বছর পূর্বে গ্রেফতারকৃত আসামি সুমন প্রতিবেশীদের সাথে জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মারামারি হয়, যা স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করা হয়।
উক্ত ঘটনার পর থেকেই সুমন অনুধাবন করে যে, এলাকায় আধিপত্য ও প্রভাব বিস্তার করার জন্য তার একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ প্রয়োজন। সেই চিন্তাধারা থেকেই সে অস্ত্র গোলাবারুদ সংগ্রহ করা শুরু করে এবং বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র মজুদ করে। উক্ত অস্ত্র-গোলাবারুদ দিয়ে সে এলাকায় বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছিল। এলাকায় প্রভাব বিস্তার করার জন্য সে স্থানীয় যুবকদেরকে সন্ত্রাসী কাজে সম্পৃক্ত করতে থাকে যা ধীরে ধীরে সামাজিক অবক্ষয়ের দিকে ধাবিত হয়। উক্ত সন্ত্রাসী গ্রুফের সদস্যদের অর্থের যোগান এবং সদস্যদের চাহিদা পূরণ করার জন্যই সে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।
পৃথক একটি অভিযানে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল ২৭ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা কোতয়ালি থানধীন বাখরাবাদ মোড় এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ২০০ বোতল ফেন্সিডিল ও ৫২০পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী কুমিল্লা কোতয়ালি থানা এলাকার গিলাতলী পশ্চিমপাড়া গ্রামের আবুল মিয়ার ছেলে মোঃ মেহেদী হাসান (২৩)। ধৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে র্যাব সদস্যরা।