ভাড়া না দেওয়ায় ‘ইমাম হাসান-৫’ লঞ্চ থেকে মুন্সিগঞ্জে মেঘনা নদীতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগটি পুলিশের কাছে বানিয়ে বলেছিল শিশুরা। নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা শিশু মেহেদুল এবং অপর দুই শিশু সিয়াম ও তরিকুল নিজেরাই বিষয়টি স্বীকার করেছে।
মূলত চার শিশুর মধ্যে শাকিব অপর আরেক শিশুকে নদীতে ফেলে দেওয়ার পর বাকি তিনজন নিজেরাই নদীতে লাফিয়ে পরেছিল। পরবর্তীতে নদীতে ভাসমান অবস্থায় পুলিশ শাকিব ও মেহেদুলকে উদ্ধার করে। তবে পুলিশের কাছে বিষয়টি লুকাতে শাকিব ও মেহেদুল মিথ্যা অভিযোগ করে।
ভিডিওতে দেখা যায়, ভাসমান অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করা শিশুর মধ্যে রয়েছে মেহেদুল (১৩), শিশু সিয়াম (১০) ও তরিকুল (১০)।
ভিডিওতে সিয়াম জানায়, সদরঘাট থেকে তারা লঞ্চে উঠেছিল। সেখান থেকে মুন্সিগঞ্জ লঞ্চঘাটের কাছে পৌঁছে মাঝনদীতে যাত্রী উঠানামা করা ট্রলারে তাদের পড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু তারা ট্রলারে নামতে গেলে চালকরা নামতে দেয়নি। পরে চাঁদপুর অভিমুখে চলতে থাকা লঞ্চ থেকে সঙ্গীদের নদীতে লাফ দিতে বলে শাকিব। তবে কেউ লাফ না দিলে শাকিব তাদের মধ্যে থাকা তরিকুলকে নদীতে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর একে একে নদীতে ঝাঁপ দেয় অপর তিনজন। পরবর্তীতে সিয়াম ও তরিকুল সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও ভাসতে থাকে মেহেদুল ও শাকিব।