মামলা রুজুর ২৪ ঘন্টার মধ্যে মূল অভিযুক্তসহ হত্যা মামলার এজাহারনামীয় পলাতক চারজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর মুগদা থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো মোঃ রিপন, মোঃ খোকন, মোঃ মোস্তফা ও খুকি।
এজাহারের বরাত দিয়ে ডিএমপির মুগদা থানার অফিসার ইনচার্জ প্রলয় কুমার সাহা জানান, ২৫ আগস্ট, ২০২১ রাত অনুমান সাড়ে দশটায় ভিকটিম নাসির কোরবানির ঈদে কসাইয়ের কাজে সাহায্য করা মোস্তাক ফকির বাঘার নিকট পারিশ্রমিক চাইতে যায়। ঘটনাস্থল ১২২ নং উত্তর মুগদার আমির মিয়ার বাড়ির সামনে বাঘাসহ রিপন, খোকন, মোস্তফা, খুকি ও শামীমের সাথে নাসিরের কথা কাটা-কাটি হয়। এক পর্যায়ে মোস্তাক ফকির বাঘার নির্দেশে রিপন গরু কাটা ছুরি দিয়ে ভিকটিম নাসিরের পিছন দিক থেকে আঘাত করে। এতে নাসির গুরুতর রক্তাক্ত জখম হন। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় নাসিরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় ২৬ আগস্ট, ২০২১ ভিকটিম নাসিরের স্ত্রী মোস্তাক ফকির বাঘা, রিপন, খোকন, মোস্তফা, খুকি ও শামীমসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে মুগদা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে মুগদা থানায় হত্যাচেষ্টাসহ মারামারির একটি মামলা হয়।
এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো নাসিরকে পরবর্তী সময়ে মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করানো হয়। কিন্তু মিটফোর্ড হাসপাতালে কোন আইসিইউ বেড খালি না থাকায় গ্রীন রোডের ইউনি হেলফ স্পেশালাইজড হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৬ আগস্ট ০৬:০৩ টায় ভিকটিম নাসির মৃত্যু বরণ করেন। এ ঘটনায় পূর্বের মামলার সাথে হত্যার অপরাধের ধারা সংযোজন করা হয়, বলেন ওসি মুগদা থানা।
গ্রেফতার অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া ডিএমপির সবুজবাগ জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার শাহ আলম মোঃ আখতারুল ইসলাম ডিএমপি নিউজকে জানান, নাসিরের মৃত্যুর পর ঘটনাটি গুরুত্বের সাথে নিয়ে এজাহারনামীয়দের গ্রেফতারের জন্য একাধিক টিম গঠন করা হয়। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে ২৬ আগস্ট, ২০২১ ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে মূল হত্যাকারী রিপনসহ এজাহারনামীয় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য দুইজনকেও গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।