ভোলার লালমোহন গজারিয়ায় এক বখাটের নিক্ষেপ করা পেট্রল জ্বলন্ত চুলায় পড়ার পর আগুনে মা-মেয়ের শরীর ঝলসে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার রাতে উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের গজারিয়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পরে পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতায় মা-মেয়েকে উদ্ধার করে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে চিকিৎসক।
আগুনে জান্নাতুন নাঈমার শরীরের বিভিন্ন স্থানের প্রায় ২৫ শতাংশ এবং তার মা নাজমা বেগমের হাতের প্রায় সাড়ে ৪ শতাংশ পুড়ে গেছে। জান্নাত গজারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মহিবুল্লাহর মেয়ে।
জান্নাতের ভাই মো. আশরাফ হোসেন জানান, সুমন দীর্ঘদিন ধরে জান্নাতকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছে। জান্নাত তা প্রত্যাখান করে। শনিবার জান্নাতকে দেখতে পাত্র পক্ষ বাড়িতে আসে। এতে ক্ষিপ্ত হয় সুমন। শনিবার সন্ধ্যায় রান্না ঘরে রান্না করার সময় ওই বখাটে পলিথিনে করে পেট্রল নিক্ষেপ করে। এ পেট্রল জ্বলন্ত চুলায় পড়ার পর রান্না ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুন ধরে যায় সেখানে থাকা জান্নাতের গায়ে। জান্নাত চিৎকার দিলে তাকে উদ্ধার করতে আসা মাও গুরুতর আহত হন।
এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা. মো. ফাহাদ নাসির জানান, মা-মেয়েকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হলে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এদের মধ্যে জান্নাতের অবস্থা মারাত্মক হওয়ায় তার মাকেসহ উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকসুদুর রহমান মুরাদ বলেন, ৯৯৯ থেকে একটি কলের ভিত্তিতে হাসপাতালে গিয়ে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলেছি। ঘটনার সত্যতা জানতে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাব। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহন করা হবে বলে জানান ওসি।