বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকার কাউনিয়া থানার বেলতলা ঘাটে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে দায়িত্ব পালন করছিলেন এএসআই বদরুল ইসলাম। হঠাৎই পুলিশ কর্মকর্তা বদরুলের চোখে পড়লো মাঝ নদীতে প্রবল স্রোতে যেন একটি যাত্রীবাহী নৌকা ডুবে যাচ্ছে। রবিবার (৪ জুলাই, ২০২১) ঘড়ির কাঁটা সাড়ে বারটা ছুঁইছুঁই, তিনি এক মুহূর্তও ক্ষেপন না করে ঘাটে থাকা একটি দেশি স্পিডবোট ও একটি ট্রলার নিয়ে সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যসহ রওনা দেন। ডুবতে থাকা ট্রলার থেকে জীবিত উদ্ধার করেন সকলকে। এভাবে বেঁচে যায় নারী, শিশুসহ মোট ১২ জন যাত্রীর প্রাণ।
পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি প্রতিটি মানুষেরই থাকে মানবিক মূল্যবোধ ও সামাজিক দায়বদ্ধতা। সেই সামাজিক ও মানবিক দায়বদ্ধতার প্রমাণ মেলে এই ঘটনায় ।
নাগরিক খবরের সাথে মোবাইলে আলাপকালে এএসআই বদরুল ইসলাম বলছিলেন, “আমি কাউনিয়া থানার বেলতলা ঘাটে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে দায়িত্ব পালন করছিলাম। হঠাৎই চোখে পড়ে নদীর মাঝ বরাবর একটি ট্রলার প্রবল স্রোত ও ঢেউয়ের কারণে ডুবে যাচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “নৌকাটি ডুবতে দেখে আমি কোনো কিছু চিন্তা না করেই তাৎক্ষণিক ঘাটে থাকা একটি দেশি স্পিডবোট ও অপর একটি ট্রলারের সাহায্য নিয়ে সঙ্গীয় ফোর্সসহ দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। ডুবে যাওয়া নৌকায় থাকা ১২ যাত্রীকে উদ্ধার করি। যাত্রীদের মধ্যে চার শিশু, দুই নারী ও ছয়জন পুরুষ ছিলেন। এদের মধ্যে দুই নারী কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের বেলতলায় স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করা হয়, বাকিরা সুস্থ ও স্বাভাবিক ছিলেন।”
নারী-শিশুসহ এই ১২ জন উত্তাল কীর্তনখেলা নদীর চরমোনাই খেয়াঘাট থেকে নগরীর বেলতলা খেয়াঘাটে কাঠের তৈরি ছোট একটি ট্রলারযোগে পার হচ্ছিলেন।