করোনা সংক্রমণরোধে সপ্তাহব্যাপী কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়ার অপরাধে রাজধানীতে ৩২০ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২০৮ জনকে জরিমানা করা হয়। এর বাইরে ৬৮টি গাড়িকে এক লাখ ১৯ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা করেছে ট্রাফিক বিভাগ।
ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের এডিসি মো: ইফতেখায়রুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, ট্রাফিক বিভাগ ৬৮টি গাড়িকে এক লাখ ১৯ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা করেছে।
এডিসি ইফতেখায়রুল জানান, সরকারি নির্দেশনা প্রতিপালনে সকাল থেকে একযোগে ডিএমপির ক্রাইম ডিভিশন, ট্রাফিক ডিভিশন ও গোয়েন্দা ডিভিশন মাঠে কাজ করেছে। পাশাপাশি প্রত্যেকটি বিভাগেই ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সকাল থেকে রাজধানীর রমনা, লালবাগ, মতিঝিল, ওয়ারী, তেজগাঁও, মিরপুর, গুলশান, উত্তরার বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের বিভিন্ন চেকপোস্ট, তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া সপ্তাহব্যাপী কঠোর বিধিনিষেধের বাস্তবায়ন করতে ভোর থেকে মাঠে ব্যাপক তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনে তল্লাশি ও পথচারীদের বাইরে বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করছে পুলিশ।
এর আগে করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ কঠোরভাবে প্রতিপালনে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।
বুধবার বিকেলে পুলিশ সদর দফতর থেকে র্ভাচ্যুয়ালি সব মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলা পুলিশ সুপার ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) সব ইউনিট প্রধানদের এ নির্দেশনা দেন তিনি।
আইজিপি সরকারি বিধিনিষেধ চলাকালে সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী জরুরি প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হতে হলে অবশ্যই মাস্ক পরিধানসহ ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের অনুরোধ করেন।
১ জুলাই থেকে রাজধানীতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বের হলেই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা: শফিকুল ইসলাম। বুধবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
এ সময় শফিকুল ইসলাম বলেন, যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া কেউ বের হলে তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে। নির্দেশনা বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ে অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে থাকবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। বিধি-নিষেধ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২৬৯ ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।