করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে ঢাকার আশপাশের সাতটি জেলায় সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আগের চেয়ে মানুষের চলাচল বেড়েছে। অটো, মিশুক ও বাজারের সকল দোকান খোলা অবস্থায় দেখা গেছে। শাহরে দেদারছে যাত্রী নিয়ে চলছে অটো ও মিশুক। সরকারি-বেসরকারি সব অফিস খোলা ছিল। কোনো কিছুই বন্ধ হয়নি। মুন্সীগঞ্জ থেকে যে কোনো থানায় যাতায়াত করা ছিল খুবই স্বাভাবিক। কোনো ধরনের লকডাউনের প্রভাব পড়েনি জনজীবনে।
দেখা গেছে, জেলার গজারিয়ার ভবেরচর বাজারের ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উদ্যোগে বিরাট ছাগলের হাট বসেছে। টংগীবাড়ি, লৌহজং, সিরাজদিখান, শ্রীনগর সর্বত্রই যাতায়াত করা যায়। কোনো প্রকার দোকান বন্ধ করা হয়নি।
সোমবার রাতে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটি বৈঠক শেষে জানানো হয়, ২২ জুন সকাল ৬টা থেকে ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত লকডাউন থাকবে। জরুরী পরিসেবা ছাড়া কোনো ধরনের যানবাহন চলবে না। জেলা থেকে কোনো মানুষ বাইরে যাবে না, তেমনি বাইরের থেকে কোনো মানুষ মুন্সীগঞ্জ ঢুকতে পারবে না। প্রতিটি উপজেলায় এমন নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সে সময় জানানো হয়, জেলার ১০টি প্রবেশ মুখে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি লকডাউন কার্যকর করতে মাঠে ম্যাজিস্ট্রেটও থাকছে। জেলার লঞ্চ টার্মিনাল থেকে সকল ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। শুধু অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরী পণ্য পরিবহনের জন্য শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটের ফেরি সীমিত পরিসরে চলাচল করবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের উপ-মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) শফিকুল ইসলাম জানান, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ঘাটের সকল নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরী সেবার যানবাহনসহ পণ্যবাহী যানবাহন পারাপারের জন্য সীমিত পরিসরে ফেরি সার্ভিস চালু রাখা হয়েছে। বতর্মানে ঘাট এলাকায় ওপারে যাবার অপেক্ষায় ৭০ থেকে ৮০টি পণ্যবাহী ট্রাক রয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো: মনিরুজ্জামান তালুকদার জানান, এভাবে চলতে দেয়া যাবে না। লকডাউন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। প্রত্যেকটি প্রবেশমুখে পুলিশ প্রশাসন টহল দিচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত রয়েছে। তারপরেও এভাবে আর দোকান গাড়ি চলতে দেয়া হবে না। সকল কিছু বন্ধ করে দেয়া হবে।