আছমত আলী খানকে যে অসম্মান করতে পারে, যে স্বাধীনতা পদক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিলেন, সেটা নিয়ে যে প্রশ্ন তুলতে পারেন, সে আওয়ামীলীগার হিসেবে দাবি করতে পারে না
মুক্তিযোদ্ধাদের যারা অসম্মান করে তারা আওয়ামী লীগের নেতা হতে পারে না জানিয়ে জনসম্মুখে তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। শনিবার (১৯ জুন) দুপুরে মাদারীপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ের আয়োজনে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
শাজাহান খান বলেন, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মৌলভী আছমত আলী খানকে নিয়ে কটূক্তিমূলক বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ মোল্লা। এরই প্রতিবাদ করে আসছে জেলার মুক্তিযোদ্ধাসহ সর্বস্তরের মানুষ।
তিনি বলেন, এই প্রতিবাদে রাজাকার-বিএনপি অংশগ্রহণ করেছে এমন অভিযোগ তুলে আবারও বক্তব্য দেন সাহাবুদ্দিন আহম্মেদ মোল্লা। যা মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জন্য বেমানান।
শাজাহান খান আরও বলেন, আছমত আলী খানকে যে অসম্মান করতে পারে, যে স্বাধীনতা পদক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিলেন, সেটা নিয়ে যে প্রশ্ন তুলতে পারেন, সে আওয়ামী লীগার হিসেবে দাবি করতে পারে না। এটার জন্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দুঃখ প্রকাশ করল না, ক্ষমা চাইতে পারল না।
তিনি বলেন, যখন মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিবাদ শুরু করলেন। তখন সাহাবুদ্দিন আহম্মেদ মোল্লা অর্বাচীনের মতো কথা বলা শুরু করছে। এর পেছনে মদদদাতা রয়েছে তাকে খুঁজে বের করে মাদারীপুরের মাটিতে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান শাজাহান খান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান হাওলাদার, মুক্তিযুদ্ধকালীন খলিল বাহিনীর প্রধান খলিলুর রহমান খান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন সেলিম প্রমুখ।
এ জাতীয় আরো খবর..