তিনি বলেন সংবাদের কিছু অংশে করোনার বিধিনিষেধ মানা হয়নি উল্লেখ করা হয় প্রকৃতপক্ষে সকল নেতা কর্মী ও সমর্থকদের মুখে মাস্ক পরিহিত ছিল এবং মাস্ক পড়া বাধ্যতামুলক ছিল। এছাড়া শোডাউনে এলাকা প্রকম্পিত হওয়া বলা হলেও শোডাউনটি দেখার জন্য উৎসবমুখর পরিবেশে এলাকাবাসী বাড়ির বাইরে এসে উপভোগ করেন। শোডাউন চলাকালীন যানজট চলাচলে বিঘ্ন ঘটার কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে শান্তিপুর্নভাবে কোন প্রকার যানচলাচলে বিঘ্ন ঘটেনি বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।
নির্বাচনী শোডাউনের গুরুত্বপুর্ন সংবাদটি আজকের কুমিল্লায় সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা হলেও সংবাদের কিছু অংশে প্রতিবেদক ভুল তথ্য দেওয়ার বিষয়ে সম্পাদকের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। সংবাদের একাংশে ভুল তথ্য প্রচার করার বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে সত্য সংবাদ প্রকাশে আজকের কুমিল্লার সম্পাদকের দৃষ্টি আর্কষন করেন।
আজকের কুমিল্লায় প্রকাশিত সংবাদ-
চলমান লকডাউনে করোনার বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে কুমিল্লা ৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) আসনের উপনির্বাচনে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী বাংলাদেশ যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক এহতেশামুল হাসান ভূঁইয়া রুমি প্রায় পাঁচ সহস্রাধিক মোটরসাইকেল ও প্রায় দুই শতাধিক গাড়ি বহরসহ প্রায় হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে বিশাল শোডাউন ও ব্যাপক গণসংযোগ করেছেন। এ সময় বেশিরভাগ নেতাকর্মীর মুখে মাস্ক ছিল না। ছিল না নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব। মঙ্গলবার (০১ জুন) দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে শোডাউনটি বের হয়ে বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়ার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে প্রদক্ষিনের সময় নেতাকর্মীদের স্লোগানে মুহূর্তের মধ্যে আশেপাশের এলাকা প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।
শোডাউনে নেতাকর্মীরা ‘জয় বাংলা,জয় বঙ্গবন্ধু’। আমার ভাই, তোমার ভাই রুমি ভাই, রুমি ভাই ইত্যাদি শ্লোগান দেয়।
করোনার দ্বিতীয় স্রোত যখন চলছে, তখন এমন শোডাউন কতটুকু গ্রহণযোগ্যতা পাবে তা নিয়ে বেশ সমালোচনা হয়েছে। শোডাউনে মোটরসাইকেল ও গাড়ি বহরের কারণে বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া সড়কে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যানচলাচলের বিঘ্ন ঘটে।
এ সময় জনসাধারণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মহান আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টির প্রথম মানব আদম ও হাওয়া (আঃ) কে সৃষ্টি করে বেহেশতে রেখেছিলেন তারপর পৃথিবীতে পাঠিয়ে পরে আবারও বেহেশতে ফিরিয়ে নেন। আমরা প্রত্যেকটা মানুষই মাটির তৈরী। তাই আমাদেরকেও একদিন এ মাটির মাঝেই ফিরে যেতে হবে। বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া হচ্ছে আমার সর্বশেষ ঠিকানা একদিন আমাকেও এ মাটির মাঝে ফিরে যেতে হবে। আমি হয়ত পড়ালেখার কারণে, রাজনৈতিক কারনে এমনকি ব্যবসার জন্য ঢাকায় থেকেছি ।যখনই জনগণ আমাকে ডেকেছে সঙ্গে সঙ্গে আমি তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি এবং আমার সর্বসাধ্য অনুযায়ী মানুষকে সহযোগীতা করেছি।
উল্লেখ্য, শোডাউন শেষে সমাবেশটি ব্রাহ্মণপাড়া হাই স্কুল মাঠে জড় হলে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ১ নং মাধবপুর ইউনিয়ন, ২ নং শিদলাই ইউনিয়ন, ৩ নং চান্দলা ইউনিয়ন, ৪ নং শশীদল ইউনিয়ন, ৫ নং দুলালপুর ইউনিয়ন, ৬ নং ব্রাহ্মণপাড়া (সদর) ইউনিয়ন, ৭ নং সাহেবাবাদ ইউনিয়ন এবং ৮ নং মালাপাড়া ইউনিয়নের সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সাধারন জনগণ উপস্থিত হয়ে ব্রাহ্মণপাড়া বাজারে বিশাল পথসভার মাধ্যমে সারাদিনের কর্মসূচি শেষ হয়।