১৯১৫ সালের এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে হোয়াইট হাউস এতদিন সতর্কতার সঙ্গে মতামত ব্যক্ত করে আসছিল। তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের শঙ্কায় এ নিয়ে মন্তব্য থেকে বিরত থাকতেন অতীতের মার্কিন প্রেসিডেন্টরা।
কিন্তু শনিবার বাইডেন সেই প্রথা ভেঙে ওই হত্যাকাণ্ডকে সরাসরি ‘গণহত্যা’ বলে আখ্যায়িত করেন।
এতে আর্মেনিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী আর্মেনীয় প্রবাসীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেও ওয়াশিংটনের সঙ্গে আংকারার সম্পর্কে নতুন টানাপোড়েন শুরু হয়েছে।
এরদোগানের উপদেষ্টা ও মাখপাত্র ইব্রাহীম কালিন বলেন, ভিন্নভাবে এবং মাত্রায় এ ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানানো হবে। আসছে দিনগুলো ও মাসগুলোতে আমরা এর যথোচিত জবাব দেব। তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে ইনসিরলিক বিমান ঘাঁটিতে মার্কিন প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে কিনা; তা নিয়ে নির্দিষ্ট করে কোনো মন্তব্য করেননি কালিন।
সিরিয়া ও ইরাকে আইএস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আন্তর্জাতিক জোটের সমর্থনে এই ঘাঁটি ব্যবহার করা হয়।
মার্কিন ঘোষণার জবাবে তুরস্কের পদক্ষেপগুলোর মধ্যে এটি একটি হতে পারে। বাইডেনের বিবৃতির পরপরই তার নিন্দা জানিয়েছে তুরস্ক। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নিয়ে কথা বলবেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান।
কালিন বলেন, উপযুক্ত সময় ও স্থানে এই দুর্ভাগ্যজনক, অন্যায় বিবৃতির জবাব আমরা দেব। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় উসমানীয় বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে বহু আর্মেনীয় নিহত হয়েছে বলে স্বীকার করে তুরস্ক। কিন্তু ওই হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত কিংবা গণহত্যা বলে অস্বীকার করে আসছে।