৯৯৯ নাম্বারে ফোন পেয়ে চট্টগ্রামে পরিত্যাক্ত নবজাতকের প্রাণ বাঁচাল পুলিশ। চট্রগ্রাম মহানগরীর জিইসি মোড় এলাকায় টংয়ের দোকানের পাশে মাঝরাতে পড়ে থাকা মেয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় চট্টগ্রাম মেডিকেলে। বর্তমানে শিশুটি অবস্থা আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
রাত তখন দেড়টা। চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড় এলাকায় টং দোকানের পাশ থেকে হঠাৎ কান্নার শব্দ শোনা যাচ্ছিল। সেই পথ দিয়ে হেঁটে যাওয়া সিটি কর্পোরেশন কর্মকর্তা মামুন নামে এক ব্যক্তি, সাদা কাপড়ে মোড়ানো কন্যা নবজাতককে টংয়ের দোকানের পাশে পড়ে থাকতে দেখেন। ৯৯৯ ফোন দেয়া হলে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তাদের সহায়তায় চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি করা হয় শিশুটিকে।সিটি কর্পোরেশন কর্মকর্তা মামুন বলেন, ‘প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির সামনে একটি টং দোকান আছে। ওই টং দোকানের চেয়ারের ওপর দেখি একটি সাদা কাপড় মোড়ানো অবস্থায় শিশুটি পড়ে আছে।
চিকিৎসক ও নার্সদের পরম মমতায় ও যত্নে সুস্থ হয়ে উঠছে নবজাতকটি। ওজন কিছুটা কম থাকলেও দুইদিন আগে নবজাতকটির জন্ম হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক ও শিশু ওয়ার্ডের বিভাগীয় প্রধান ডা. জগদীশ চন্দ্র দাশ।পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার পর আইনগত পদ্ধতি অনুসরণ করেই নবজাতক কন্যাটিকে দত্তক দেয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
চকবাজার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর বলেন, ‘বাচ্চার কোনো আত্মীয়-স্বজনের খবর আমরা এখনো পায়নি। আর বাচ্চাটাকে আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বিজ্ঞ আদালত এবং সিনিয়রদের নির্দেশনা অনুযায়ী কারো কাছে হ্যান্ড ওভার করা হবে।’এর আগে ২০১৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে কর্নেলহাট এলাকার একটি ডাস্টবিন থেকে কুড়িয়ে পাওয়া নবজাতক একুশকে উদ্ধার ও সেবা পরবর্তী কার্যক্রমে প্রশংসিত হয়েছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা আলমগীর।
এ জাতীয় আরো খবর..