কুমিল্লা জেলার বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়ায় কর্মরত প্রিন্ট এবং ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে স্থানীয় একটি কনভেনশন সেন্টারে গতকাল বিকেলে মতবিনিময় করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির সহ সম্পাদক এহতেশামুল হাসান ভূঁইয়া রুমি।

মতবিনিময় শেষে সকল সাংবাদিকগণের সাথে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে অংশ গ্রহন করেন যুবলীগের এই কেন্দ্রীয় নেতা।

সাংবাদিকগণের সাথে মতবিনিময়কালে এহতেশামুল হাসান ভূঁইয়া রুমি বলেন আপনারা সবাই জানেন আমাদের বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া, কুমিল্লা-৫ আসনের পাঁচবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য, সাবেক সফল আইনমন্ত্রী, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন খসরু ভাই আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন না ফেরার দেশে। মূলত মরহুম আব্দুল মতিন খসরু ভাইয়ের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা ও তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন ও আপনাদের সাথে পরিচিত হবার জন্যই আমার আজকের এই আয়োজন।

গণমাধ্যম হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রধান সহায়ক। সাংবাদিকগণ হচ্ছেন জাতির জাগ্রত বিবেক, সংবাদপত্র হচ্ছে সমাজের দর্পণ, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। সৎ ও নির্ভীক সাংবাদিকতা দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গল বয়ে আনে। আজ সব গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করছে, যা অন্য কোনো সরকারের আমলে হয় নাই। সাংবাদিকরা জাতিকে স্বপ্ন দেখতে শেখায়। বতমান সরকারের যে উন্নয়ন সেগুলো গণমাধ্যমে তুলে ধরে দেশবাসীকে উন্নয়নের কথা জানাতে হবে। এছাড়াও এলাকার সমস্যার কথাগুলো মিডিয়ায় প্রকাশ করলে, তার আলোকে কাজ করতে সরকারের সুবিধা হয়। সেই আলোকে আপনাদের সাথে আমার আজকের এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা।

আপনারা জানেন আমাদের প্রিয় নেতা আব্দুল মতিন খসরু ভাইয়ের মৃত্যুর কারনে আজ বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে একাদশ জাতীয় সংসদের কুমিল্লা-৫ আসনটি শূন্য হয়েছে। এই শূন্য আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেতে অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, যারা আগ্রহ প্রকাশ করেছেন আমি নিজেও তাদের মধ্যে একজন।

পরিশেষে আমি শুধু একটি কথাই বলব যদি আল্লাহর রহমতে আমার প্রিয় দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ,আমার প্রিয় নেত্রী বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কণ্যা বাংলার সফল প্রধানমন্ত্রী, বিশ্ব শান্তির অগ্রদুত জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে কুমিল্লা-৫ বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া আসনে নৌকার প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দেন তাহলে আমি প্রিয় নেতা মরহুম আব্দুল মতিন খসরু ভাইয়ের একজন কর্মী ও যোগ্য উত্তরসূরি হয়ে তার অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করে এই বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়াকে আধুনিক নগরিতে গড়ে তুলব ইনশাআল্লাহ। প্রিয় দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও আমার প্রিয় নেত্রীর সিদ্ধান্ত যাই হোক তাই আমার কাছে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

উক্ত মতবিনিময় সভায়,ইফতার ও দোয়া মাহফিলে বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় কর্মরত প্রিন্ট এবং ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।