জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯’ নম্বরে কলের মাধ্যমে অপহৃত এক ভারতীয় নাগরিকসহ দুইজনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। অপহরণের এই ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ইসতাহা ভুইয়া ওরফে ইয়াম (২২) ও মতিন ওরফে রবিন (২০)।
২০ মার্চ,২০২১ (শনিবার) দিবাগত রাত সাড়ে তিনটায় ব্রাহ্মনবাড়িয়া সদর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভিকটিমদ্বয়কে উদ্ধারসহ তাদেরকে গ্রেফতার করে ব্রাহ্মনবাড়িয়া সদর থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায় ব্যাবসায়ী মোবারক হোসেন ও তার ব্যবসায়ী অংশীদার ভারতীয় নাগরিক মিন্টু দাস আশুগঞ্জ-ত্রিপুরা চারলেন সড়কের ঠিকাদারী কাজ করেন। ১৯ মার্চ (শুক্রবার)রাতে ভিকটিমদ্বয় ব্যবসায়িক কাজে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে আশুগঞ্জ থেকে ব্রাহ্মনবাড়িয়া সদরের কলেজপাড়া এলাকায় যান। তারা গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেটে এগিয়ে যান এবং চালক উক্তস্থানে অবস্থান করেন। গভীর রাতে তারা ফিরে না আসায় চালক তাদেরকে ফোন করলে উভয়ের ফোন বন্ধ পায়। ২০ মার্চ (শনিবার) ভোরে ভিকটিম মিন্টু দাস তার ব্যবহৃত ফোন হতে অপহরণের বিষয়টি এসএমএস এর মাধ্যমে আরেক ব্যবসায়ী অংশীদারকে জানান। তাদের ছাড়িয়ে আনতে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে নতুবা তাদের মেরে ফেলা হবে মর্মে এসএমএস-এ উল্লেখ করেন।
২০ মার্চ ২০২১ (শনিবার) সকাল সাড়ে সাতটায় ভিকটিমের আত্মীয় জনৈক হানিফ এ অপহরণের ঘটনাটি ‘জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯’ ফোন করে জানান। ৯৯৯ কর্মরত পুলিশ সদস্যরা তাৎক্ষনিকভাবে কলার হানিফের সাথে ব্রাহ্মনবাড়িয়া সদর থানার ডিউটি অফিসারের কথা বলিয়ে দেন। একই সাথে বিষয়টি ব্রাহ্মনবাড়িয়া পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ও জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানান। ব্রাহ্মনবাড়িয়া পুলিশ সুপারের নির্দেশে জেলা পুলিশের একাধিক টীম অপহৃতদের উদ্ধারে মাঠে নামে। অবশেষে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে ভিকটিমদের অবস্থান শনাক্ত করে অপহৃত দুজনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেফতার করা হয়।
এ সংক্রান্তে ব্রাহ্মনবাড়িয়া সদর থানায় মামলা রুজু হয়েছে।