দেশে করোনার বিস্তার ও ঊর্দ্ধগতি নিয়ন্ত্রণ করতে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা বাণিজ্য ও কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) করোনাবিষয়ক এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ নির্দেশনা দেন তিনি।
আইজিপি বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে ২১ মার্চ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি চালাবে বাংলাদেশ পুলিশ।পুলিশের এই কার্যক্রমের স্লোগান- ‘মাস্ক পরা অভ্যাস, কোভিড মুক্ত বাংলাদেশ।
আইজিপি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী সম্পন্ন নানা পদক্ষেপের কারণে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে। বিশ্বের ২২ টি দেশ প্রথম দফায় করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম এবং দক্ষিণ এশিয়াতে করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ দারুণ ভূমিকা দেখিয়েছে।
দেশবাসীর উদ্দেশ্যে পুলিশ প্রধান বলেন, ঘর থেকে বাইরে আসলে মাস্ক পরবেন, কখনোই মাস্ক নিয়ে আসতে ভুলবেন না। আমরা যেহেতু গ্লোবাল ভিলেজে বসবাস করি আমরা সংক্রমণমুক্ত হলেও সংক্রমণের হুমকি থেকে যায়। যতদিন পর্যন্ত সারা বিশ্ব করোনা ঝুঁকি মুক্ত না হয়, ততদিন আমাদের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। নিজের, নিজের সন্তানের, পরিবারের জন্য এবং বয়স্ক নাগরিকদের চিন্তা করে সবাইকে মাস্ক পরতে হবে।
আইজিপি বলেন, কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিং এর মাধ্যমে গ্রামে-গঞ্জেও মানুষকে মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য অনুপ্রেরণা দেওয়া ও উদ্বুদ্ধ করা হবে। প্রয়োজনে মানুষের মাঝে আমরা বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করবো, অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান আমাদের সাথে সেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে চাইলে, স্বাগত জানাই।
করোনাকালে বাংলাদেশ পুলিশ কখনও দায়িত্ব থেকে পিছপা হয়নি উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, করোনা মোকাবেলায় আমরা মানুষের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছি। এই করোনার সময়ে আমরা খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, চিকিৎসা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে মৃতদেহের সৎকারের ব্যবস্থা করেছি। করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ পুলিশের ৮৭ জন সদস্য শাহাদাত বরণ করেছেন এবং ২০ হাজারের বেশি আক্রান্ত হয়েছেন।
সমাবেশ-গণজমায়েতের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এগুলো পরিহার করাই ভালো। একান্তই যদি করতে হয় তাহলে অবশ্যই বিধিবদ্ধভাবে করবেন এবং কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করবেন।উক্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।