আমি প্রতি মূহুর্তে ভেবে চলেছি আমার এই পাপে পরিপূর্ণ জীবনের সফলতা কী? জীবন যুদ্ধে পরাজিত এই আমি একটাই উত্তর পেয়েছি — আমার বেঁচে থাকাটাই আমার সফলতা। আমার এই সফলতার সিঁড়ি বেয়ে আমি প্রতিনিয়ত পৌঁছে যাই আমার স্বপ্নের মানুষগুলোর কাছে, এই পৃথিবীতে মানুষের মতো দেখতে তো বহুজন আছে কিন্তু প্রকৃত মানুষ হয় কজনা !
পৃথিবীর কল্যাণের জন্য আমি সেই প্রকৃত স্বপ্নবাজ মানুষ খুঁজতে গিয়ে তোকে পেয়েছি, নির্দ্বিধায় বলতে পারি আমার নাফি নিবেদিতা সেই প্রকৃত মানুষ হচ্ছে ধীরে ধীরে। আমি জানি তুই সকল পাপ আর অন্যায়কে পদদলিত করে ঠিক ই একদিন পৌঁছে যাবি তোর লক্ষ্যে, মানব কল্যাণের পথে। তোর সফলতায় যে মানুষটি সব থেকে খুশি হবে তিনি তোর বাবা।আর আমার খুশি তোর হাসিমুখ। আল্লাহর সৃষ্টিকুলের সেরা জীব হল মানুষ , মানুষের মতো মানুষ হয়ে আল্লাহর সেরা জীব হওয়ার মধ্যেই আমার সকল সুখ নিহিত।
যতদূরেই থাকি তবুও তুই আমার কাছে বিশেষ কিছু, আমার আদরের সন্তান , আমার স্বপ্নের সিঁড়ি। আজ একটি সত্য বলছি, আমার শেষ ইচ্ছার কথা বলছি– আমার অপূর্ণতায় ভরা জীবনের শেষ ইচ্ছা একটা বৃদ্ধাশ্রম ও প্রতিবন্ধীদের জন্য একটা আবাস এর ব্যবস্থা করে রেখে যাওয়া, আর সেই বৃদ্ধাশ্রমের মাটিতেই যেন আমি শেষ ঘুমে বিভোর থাকি।
নাফি বাবা একটা কথা মনে রাখবা তোমরা সকলে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব মানুষকে ভালোবাসবা, মানবতার পথে ধর্ম কখনো বাঁধা নয়, মনে রেখো মানুষের জন্য ধর্ম কিন্তু ধর্মের জন্য মানুষ নয়। জীবনে যা কিছুই করিস না কেন সবসময় মানুষের অন্তরে থাকিস পরম ভালোবাসায়।
যেদিন আমি থাকবো না সেদিনও যেন এ হাসি অম্লান থাকে। জগতের কল্যাণের জন্য, মানুষের স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টার যে বীজ তোর মধ্যে আমি নিহিত করে দিয়ে গেলাম তা বেঁচে থাকুক আজন্মকাল।
ভালো থাকিস আমার নাফি – সত্যিকার মানুষ হবি, আলোকিত মানুষ হবি ! সৃষ্টিকর্তা নাফিকে সব সময় ভাল রেখো !
লেখক: রুবাইয়েত হোসেন অনতু