আবারও পেছানো হয়েছে নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি। এ মামলার অন্যতম আসামি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হননি। তবে তার আইনজীবীর মাধ্যমে তিনি আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। এদিন আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিও করেন তার আইনজীবী। এ মামলা পরবর্তী শুনানির দিন ১৮ মার্চ ধার্য করেছেন আদালত।
নাইকো দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার (০২ মার্চ) আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে শুনানিতে অংশ নেয়ার কথা ছিল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার। তবে এদিন তিনি হাজির না হলেও তার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেয়ার আবেদন করেন আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার। আবেদনটি মঞ্জুর করে আদালত খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতে তার পক্ষে শুনানির জন্য অনুমতি দেন। এরপর মামলার প্রধান আসামি বিএনপি চেয়ারপারসনের পক্ষে এ মামলার শুনানি শুরু হয়।
এদিন শুনানি শেষ না হওয়ায় খালেদা জিয়ার পক্ষে পরবর্তী ১৮ মার্চ দিন ধার্য করেন আদালত। দীর্ঘদিন পর আলোচিত এ মামলায় তার আইনজীবীরা শুনানি শুরু করায় সন্তুষ্ট প্রকাশ করে রাষ্টপক্ষ।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন।
গত ২০১৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
দুদকের করা অপর দুই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। সেখান থেকে পরে চিকিৎসার জন্য তাকে বিএসএমএমইউতে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি গুলশানের বাসায় আছেন।