বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার নাসির হোসেন সম্প্রতি বিয়ে করেছেন তামিমা সুলতানা তাম্মি নামে এক নারীকে। আর এ বিয়ে নিয়ে সৃষ্টি হয় তুমুল বিতর্ক। আর এই বির্তকিত ইস্যুতে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান নাসির। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে প্রমাণ স্বরূপ নাসিরের স্ত্রী তামিমা সুলতানা প্রথম বিয়ের তালাকের নোটিশ প্রকাশ করেন।
বিতর্ক ইস্যু নিয়ে বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বনানীতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ক্রিকেটার নাসির। সেখানেই এই তালাকের নোটিশ প্রকাশ করা হয়।
সময় নিউজের হাতে আসা তামিমার পাঠানো তালাকের নোটিশে তিনি উল্লেখ করেছেন সাংসারিক ও মানসিক বনিবনা না হওয়ায় তালাক দিয়েছেন তামিমা।
এর আগে, বুধবার ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে মামলা করেন স্বামী মো. রাকিব হাসান। মামলায় আগের বিয়ে গোপন রেখে নতুন বিয়ে, অন্যের স্ত্রীকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে যাওয়া, ব্যাভিচার ও মানহানির অভিযোগ আনা হয়েছে।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালতে রাকিব হাসান এ মামলা করেন।
রাকিবের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান বলেন, মামলায় তামিমা সুলতানা তাম্মিকে এক নম্বর ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনকে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে। দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ৪৯৪, ৪৯৭, ৪৯৮, ৫০০ এবং ৩৪ ধারায় এ মামলা করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বাদীর সঙ্গে ১ নম্বর আসামি তামিমা সুলতানার ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক ৩,০০,০০১ (তিন লক্ষ এক) টাকা দেনমোহর ধার্যে বিবাহ সম্পন্ন হয় এবং রেজিস্ট্রি হয়। বিয়ের পর থেকে বাদী ও ১ নম্বর আসামি স্বামী-স্ত্রী হিসেবে সংসার করতে থাকেন। দাম্পত্য জীবনে তাদের সংসারে বাদীর ঔরসে ১নং আসামির গর্ভে একজন কন্যা সন্তানের জন্ম হয়, যার নাম রাখা হয় তোবা হাসান। বয়স-৮ বছর। ১ নম্বর আসামি (তাম্মি) পেশায় একজন কেবিন ক্রু। তিনি সৌদি এয়ারলাইন্সে কর্মরত। চাকরির সুবাদে তিনি গত ১০ মার্চ সৌদিতে গিয়েছিলেন। করোনা মহামারির কারণে জরুরি অবস্থা সৃষ্টি হলে সেখানেই অবস্থান করতে থাকেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি বিয়ে করেছেন ক্রিকেটার নাসির হোসেন। বিয়েকে স্মরণীয় করতে ভালোবাসা দিবসটিকেই বেছে নেন তিনি। কিন্তু বিয়ের সপ্তাহ পার না হতেই চরম বিতর্ক শুরু হয়েছে।