পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় পুলিশের চোখে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে আসমী কাসেম ব্যাপারী (৪৫) কে ছিনিয়ে নিয়েছেন তার স্ত্রী হাসিনা বেগম (৩৫)সহ কয়েকজন নারী।
এসময় এএসআই সুমনসহ পুলিশের তিন সদস্যকে মারাত্মকভাবে মারধর করা হয়েছে। বর্তমানে সুমন চিকিৎসার জন্য স্থানীয় একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি আছেন। শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলার চরকাজল ইউনিয়ানের বড়শিবা গ্রামে আসামী কাসেম ব্যাপারীকে গ্রেফতার করতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহত পুলিশ সদস্য বাদী হয়ে গলাচিপা থানায় মামলা করেন। মরিচের গুড়া ছিটানোর অভিযোগে হাসিনা বেগম নামের ওই নারীকে গ্রেফতার করে রবিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কারাগারে পাঠিয়েছেন পুলিশ। আর পলাতক এবং ছিনিয়ে নেওয়া আসামিকে গ্রেফতারের জন্য পটুয়াখালী ও পার্শ্ববর্তী ভোলা জেলার সীমানায় সাড়াশি অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমআর শওকত আনোয়ার ইসলাম।
ওসি এমআর শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, ভোলার চরফ্যাশনের একটি জিআর-২৫৬-৯৯ মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি গলাচিপার চরকাজল ইউনিয়নের বড়শিবা গ্রামে কাশেম বেপারী দীর্ঘদিন ধরে অবস্থান করছে। পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার বিকালের দিকে কাশেম বেপারীকে গ্রেফতার করেন। এসময় কাশেমের চিৎকারে বাড়ির নারী-পুরুষরা সবাই একত্রিত হয়। পুলিশ কিছু বুঝে ওঠার আগেই মরিচের গুড়া নিয়ে ছুটে এসে হাসিনা বেগম এএসআই সুমনসহ পুলিশের অন্যান্য সদস্যদের চোখে ছিটিয়ে দেয়। এসময় জড়ো হওয়া ১০-১২জন মিলে পুলিশ সদস্যদের এলোপাথাড়ি পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে। মরিচের গুড়া ছিটিয়ে রক্ষা না পাওয়ায় কাশেম সর্তা দিয়ে এএসআই সুমনের মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যায়। অন্য অভিযুক্তরা পুলিশ কনস্টবল দিদারুলকে পিটিয়ে টেনে হিচড়ে ই্উনিফর্ম ছিড়ে ফেলে। এতে অন্য কনস্টেবল মাইনুলও আহত হয়। পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার খবর পেয়ে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ এমআর শওকত আনোয়ার ইসলাম দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করেন এবং গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান। মাথায় আঘাত প্রাপ্ত এএসআই সুমন বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে কর্মস্থলে ফিরে গেছেন।