শেখ হাসিনার পুরো জীবনই যার কেটেছে সংগ্রামে।সাধারণ আর দশটা মানুষের মতো তিনি পাননি পরিবারের সান্নিধ্য, ছিলো না জীবনের স্বাভাবিক গতিধারাও। সব হারিয়েও যিনি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন গৌরবোজ্জ্বল সাফল্যের অধ্যায়ে। বর্ণাঢ্য সেই সংগ্রামী ব্যক্তিত্ব দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অসীম সাহসী এই মানুষটির কণ্ঠ চিরতরে থামিয়ে দিতে তাঁর ওপর বার বার হামলা হয়েছে। শত প্রতিকূল পরিস্থিতি আর ষড়যন্ত্র পাশ কাটিয়ে যিনি কাজ করে যাচ্ছেন অবিচল নেতৃত্বে। সেই বঙ্গবন্ধু কন্যার ৭৪ তম জন্মদিন আজ।
১৯৪৭-এ দেশভাগের সময় ২৮ সেপ্টেম্বর টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার কোলে জন্ম নেন শেখ হাসিনা। জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ এই সন্তান ঢাকাতেই থাকতেন বাবার সঙ্গে। রাজনৈতিক আবহের পরিবারে বেড়ে ওঠা এই নারী ছাত্রজীবন থেকেই সম্পৃক্ত হয়েছিলেন রাজনীতির সঙ্গে।
১৯৭৫ এ আকস্মিক ঝড়ে ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যায় তার পরিবার। স্বজনহারা শেখ হাসিনা তখন নতুন যুদ্ধের সম্মুখীন। বৈরী পৃথিবীতে ৬ বছর নির্বাসিত থেকে ১৯৮১ সালে দেশে ফেরেন তিনি।
ইতিহাসের চ্যালেঞ্জ নিতে ফিরেছিলেন তিনি। ক্ষমতার মোহ পেছনে ফেলে চরম প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও মাত্র ৩৪ বছর বয়স থেকেই টানা ৪ দশক ধরে দায়িত্ব বয়ে চলছেন আওয়ামী লীগ প্রধান হিসেবে।
দীর্ঘ এই চলার পথে বার বার তাঁকে মুখোমুখি হতে হয়েছে মৃত্যুর। কাঁটা বিছানো রক্ত রঞ্জিত পথ বেয়েই তাঁকে চলতে হয় দিনের পর দিন। এখন পর্যন্ত ২০ বার তাকে মারার ষড়যন্ত্রকে পরাভূত করে দেশের জন্য কাজ করে চলেছেন এই আপোষহীন নেত্রী।
দেশবাসীর অকুণ্ঠ ভালোবাসা আর নিরঙ্কুশ সমর্থনে শেখ হাসিনা বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘকালীন নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ করে চলেছেন অবিচল নেতৃত্বে। দেশের আর্থ-সামাজিক দৃঢ় অবস্থান আর উন্নয়নের মহাকর্মযজ্ঞে পাল্টে যাওয়া বাস্তবতাই এখন বড় দৃষ্টান্ত তাঁর কর্মজীবনের।
রাজনৈতিক প্রজ্ঞার গুণে দেশের অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির মূল স্রোতধারার প্রধান নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এই নারী। বৈশ্বিক সমস্যা থেকে শোষিত-নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অগ্রণী শেখ হাসিনা এখন বিশ্বনেতাদের কাতারে।
দীর্ঘ জীবনে বহু বাধার প্রাচীর টপকানো শেখ হাসিনা আজ ৭৪ বছরে পা রাখলেন। নন্দিত নেত্রী আজ স্ব-মহিমায় বাংলার কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ের কোনে ভালোবাসার আসনে অধিষ্ঠিত।
এ জাতীয় আরো খবর..