সাতক্ষীরায় অজ্ঞান পার্টির সর্দার আবুল খায়ের বাবুসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (৯ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টায় সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন্সের ড্রিল সেডে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান এ তথ্য জানান।
এর আগে শনিবার (৮ এপ্রিল) রাতে সাতক্ষীরা, যশোর ও খুলনা জেলা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- শ্যামনগর উপজেলার ফকিরান গৌরিপুর গ্রামের জবেদ আলীর ছেলে বর্তমানে কালিগঞ্জের চৌবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা অজ্ঞান পার্টির মূল হোতা আবুল খায়ের মিস্ত্রি, সাতক্ষীরা শহরের খানপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে সাগর হোসেন এবং আবুল খায়ের মিস্ত্রির স্ত্রী নব মুসলিম ঊষা রাণী দাস, যার বর্তমান নাম আয়েশা খাতুন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, গত ৩১ মার্চ রাত সাড়ে ৩টার দিকে সদর উপজেলার নেবাখালী গ্রামের শারমিন খাতুনের ঘরের দরজা ভেঙে অজ্ঞাত পার্টির সদস্যরা চেতনানাশক ছিটিয়ে বাড়ির লোকজনদের অজ্ঞান করে সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যায়। এ অভিযোগে শারমিন খাতুন সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এছাড়া ১৩ মার্চ সদর উপজেলার আলীপুরের কুলপোতা এলাকার হারান চন্দ্র সরকারের বাড়িতে একই ধরনের ঘটনা ঘটে। এর পরিপ্রেক্ষিতে জেলা পুলিশ অজ্ঞান পার্টির রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে। একপর্যায়ে ৮ এপ্রিল রাতে অজ্ঞান পার্টির মূল হোতাসহ ওই তিনজনকে আটক করা হয়।
এদিকে আটক আবুল খায়ের মিস্ত্রির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কালিগঞ্জ থানাধীন তার বাড়ি থেকে স্বর্ণের আংটি, নগদ ৯ হাজার টাকা, এক বোতল চেতনানাশক তরল পদার্থ, এক কৌটা চেতনানাশক গুড়া পাউডার ও দুই বোতল পোর্টেবল গ্যাস রেন্স (গ্রিল ভাঙার কাজে ব্যবহৃত হয়) উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা স্বীকার করেছেন যে, বিভিন্ন বাড়িতে কৌশলে প্রবেশ করে তারা স্প্রে ছিটিয়ে বাড়ির লোকজনদের অজ্ঞান করতো। এরপর গ্যাস রেন্স ব্যবহার করে গ্রিল কেটে বাড়ির সর্বস্ব লুট করতো।
তিনি আরও জানান, ওই চক্রটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছিল আবুল খায়ের মিস্ত্রি। আটক আবুল খায়ের ও সাগর হোসেনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজিব খান, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আসাদুজ্জামান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান, ডিআইও-১ ইয়াছিন আলম চৌধুরী প্রমুখ।