চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী থানাধীন দক্ষিণ কাট্টলী এলাকা থেকে মাহবুব আলম (৩৫) নামের এক হোটেল ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় দুই অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব)। একইসঙ্গে অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে র্যাব এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
গ্রেফতাররা হলেন, পাহাড়তলী থানাধীন ১১ নম্বর দক্ষিণ কাট্টলী এলাকার মো. ওমর ফারুখের ছেলে মো. রাব্বি চৌধুরী ওরফে শাওন (২৭) এবং একই এলাকার মৃত তসলিম চৌধুরীর ছেলে মো. কায়সার চৌধুরী (২৬)।
গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে ভুক্তভোগীকে আটকে রেখে আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে আদায় করা নগদ ৩০ হাজার ৬০০ টাকা এবং মুক্তিপণ হিসেবে দেওয়া নগদ দুই লক্ষ টাকা উদ্ধার করে র্যাব। গতকাল সোমবার বিকেলে এ গ্রেফতার অভিযান চালানো হয়।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার নাগরিক খবরকে বলেন, ভুক্তভোগী মাহবুব তার পরিচিত রিংকুর ভাইয়ের বাসায় বেড়াতে যান। এসময় দুই আসামি রাব্বি ও কায়সার ওই বাসায় ঢুকে মাহবুবকে হেনস্থা করতে থাকে। এতে মাহবুব প্রতিবাদ করলে আসামিরা তাকে চড়-থাপ্পর, কিল-ঘুষি মারতে থাকে এবং একপর্যায়ে রুমের ভেতর তাকে আটকে রেখে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। এসময় তারা মাহবুবের কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এক পর্যায়ে মাহবুব নিকটাত্মীয় ও বন্ধুদের ফোন করলে তারা বিকাশের মাধ্যমে দুই অপহরণকারীর বিকাশে ৩০ হাজার ৬০০ টাকা পাঠান।
র্যাবের এ কর্মকর্তা আরও জানান, পরে আবারও টাকার জন্য চাপ দিলে মাহবুবের বড় ভাই আলম ও বন্ধু আশরাফুজ্জামান টাকা জোগাড় করে র্যাবকে খবর দেয়। এর পরই র্যাব অভিযানে নামে। এরপর সোমবার বিকেলে রিংকুদের বাসায় দিয়ে মাহবুবের ভাই আলম দরোজায় নক করলে আসামিরা দরজা খুলে তাকে ভেতরে নিয়ে যায়। এসময় আলম আসামি রাব্বির হাতে নগদ দুই লাখ টাকা তুলে দেয়। টাকা গোনার সময় র্যাবের আভিযানিক দল রাব্বিকে হাতেনাতে আটক করে। এসময় তার সহযোগী কায়সারকেও আটক করা হয়।
এ ঘটনায় দুই আসামির বিরুদ্ধে পাহাড়তলী থানায় মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।