রাজশাহী মহানগরীতে প্রেমিকাকে হত্যা করে লাশ গুমের ঘটনার সাথে জড়িত মূল আসামীসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) রাজশাহী।
গ্রেফতারকৃতদের নাম, নিমাই চন্দ্র সরকার (৪৩) (মূল আসামী), মোঃ কবির আহম্মেদ (৩০), মোঃ সুমন আলী (৩৪) ও লাশ গুমের কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসের চালক মোঃ আব্দুর রহমান@সঞ্জয়(২৫)। পাবনা ও নাটোর জেলায় ১৬ এপ্রিল ২০২১ তারিখ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করে পিবিআই রাজশাহীর একটি চৌকস টিম। এসময় মৃতদেহ গুম করার জন্য লাশ বহনকারী মাইক্রোবাস উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।
পিবিআই সদর দপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আবু ইউছুফ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১৬/০৪/২০২১ তারিখ সকাল ১০.৩০ টায় রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানা পুলিশ একজন মহিলার অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত মহিলার লাশটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ টু রাজশাহী বাইপাস মহাসড়কে কালভার্টের নীচে কচুরীপানা পানিতে চালের ড্রামের মধ্যে ছিল। অজ্ঞাতনামা মহিলার বয়স আনুমানিক ২২ বছর। তার গলায় কালো ওড়না দ্বারা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ গুমের জন্য চাউল রাখার প্লেইন সিট ড্রামে ঢুকিয়ে কালভার্টের নিচে ফেলে যায়। মৃতদেহের সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে শাহমখদুম থানা একটি হত্যা মামলা রুজু করে।
তিনি আরো জানান, পিবিআই রাজশাহীর একটি টিম ঘটনাস্থল হতে মৃতদেহের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে অজ্ঞাতনামা মৃত মহিলার পরিচয় সনাক্ত করে। মৃত মহিলার নাম শ্রীমতি ননিকা রানী রায় (২৩), পিতা-শ্রী নিপেন চন্দ্র বর্মন, মাতা-শ্রীমতি শান্তি রানী, গ্রাম-মিলন পুর (গড়েয়া), থানা ও জেলা-ঠাকুরগাঁও। পরিচয় সনাক্তের পর পিবিআই, রাজশাহী টিম পাবনা ও নাটোর জেলায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিবিআই আবু ইউছুফ জানান, ভিকটিম ননিকা রানী রায় এর সাথে মূল আসামী নিমাই চন্দ্র সরকারের অনুমান ৬/৭ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ননিকা রানী বিয়ের জন্য নিমাইকে চাপ দিলে, সে কৌশলে তার ভাড়া বাড়ীতে নমিতাকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে লাশ গুমের জন্য ঘটনাস্থলে ফেলে দেয়। গ্রেফতারকৃত অন্য আসামীরা হত্যা ও লাশ গুমের ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে।