রোববার বিকেলে পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। আইজিপি বলেন, সরকারের নির্দেশনাসমূহ ৫ এপ্রিল থেকে বলবৎ করতে হবে। এ সব নির্দেশনা প্রতিপালনে বলপ্রয়োগ নয় বরং জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার ওপর জোর দেন আইজিপি। গত বছরের মতো এবারও খোলা বা উন্মুক্ত স্থানে বাজার বসার ব্যবস্থা করতে হবে। যেসব দোকানপাট খোলা থাকবে। সেখানে পূর্ণাঙ্গরূপে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে হবে।
বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা নিয়ে তিনি বলেন, বিদেশ থেকে কেউ এলে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে তাদের অবস্থানস্থল চিহ্নিত করতে হবে। জরুরি সেবাসমূহ, শিল্প কারখানা এবং গার্মেন্টস খোলা থাকবে। গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। পণ্য পরিবহনকারী যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হবে।
পুলিশ অফিসার ও ফোর্সকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়ে আইজিপি বলেন, স্বাস্থ্যসুরক্ষা মেনে দায়িত্ব পালন করতে হবে। করোনা আক্রান্ত রোগী ও মৃতব্যক্তির সংস্পর্শে যাওয়ার প্রয়োজন হলে অবশ্যই পিপিই, ফেসশিল্ড, মাস্ক ইত্যাদি সুরক্ষা সামগ্রী যথাযথভাবে পরিধান করতে হবে।
পুলিশের সকল স্থাপনায় প্রবেশের ক্ষেত্রে ‘নো মাস্ক নো এন্ট্রি’ নীতি কঠোরভাবে বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন আইজিপি। একইসাথে পুলিশের সব স্থাপনা নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করেন।
আইজিপি বলেন, গত বছরের মার্চ মাসে দেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর তা প্রতিরোধে পুলিশ জনগণের পাশে থেকে এক ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে মানবিক পুলিশে পরিণত হয়েছে। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায়ও পুলিশসহ সবাই মিলে সরকারি আদেশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণের বিস্তার রোধে